
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: এবার হাথরাস কাণ্ডে হস্তক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর। এই ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে তিনি কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন UP-র মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।অপরাধের তদন্তের জন্য তিন সদস্যের প্যানেল তৈরি হয়েছে। তদন্তকারী বিশেষ দলের নেতৃত্বে থাকবেন পুলিশের ডিআইজি চন্দ্রপ্রকাশ, আইপিএস অফিসার পুনম এবং গৃহসচিব ভগবান স্বরূপ। সাত দিনের মধ্যে সেই প্যানেল রিপোর্ট জমা দেবে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী।
हाथरस में बालिका के साथ घटित दुर्भाग्यपूर्ण घटना के दोषी कतई नहीं बचेंगे।
प्रकरण की जांच हेतु विशेष जांच दल का गठन किया गया है। यह दल आगामी सात दिवस में अपनी रिपोर्ट देगा।
त्वरित न्याय सुनिश्चित करने हेतु इस प्रकरण का मुकदमा फास्ट ट्रैक कोर्ट में चलेगा।
— Yogi Adityanath (@myogiadityanath) September 30, 2020
১৪ সেপ্টেম্বর মা, ভাইয়ের সঙ্গে হাথরাসের ক্ষেতে কাজ করতে গেছিলেন ২০ বছরের দলিত তরুণী। গলায় ওড়না বেঁধে বাজরার ক্ষেতে টেনে নিয়ে যায় চার যুবক। সকলেই উচ্চবিত্ত। সেখানে গণধর্ষণ করে। মেরে হাড় গুঁড়িয়ে দেয়। জিভ কেটে নেয়। পঙ্গু হয়ে আইসিইউ-তে শুয়ে ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেছেন তিনি। মঙ্গলবার লড়াই শেষ হয় তাঁর। দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মারা যান।
হাথরাস নিয়ে বুধবারই প্রথম টুইট করেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি লেখেন, ‘হাথরাসের তরুণীর বাবাকে যখন খবর দেওয়া হয় যে, তাঁর কন্যার মৃ্ত্যু হয়েছে, তখন আমি তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলাম। তাঁকে চিত্কার করে কাঁদতে শুনলাম। তিনি আমায় বললেন, মেয়ের জন্য তিনি শুধু ন্যায়বিচার চান। গত রাতে মেয়ের দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে এনে শেষকৃত্য করার অধিকারও তাঁর থেকে কেড়ে নেওয়া হয়।’ যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ চেয়ে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘পদত্যাগ করুন যোগী আদিত্যনাথ। ধর্ষিতা ও তাঁর পরিবারকে সুরক্ষা না-দিয়ে আপনার সরকার তাঁদের প্রত্যেকটি মৌলিক অধিকার এমনকি মৃত্যুও কেড়ে নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকার কোনও নৈতিক অধিকারই নেই আপনার।’
I was on the phone with the Hathras victim’s father when he was informed that his daughter had passed away. I heard him cry out in despair. 1/3
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) September 30, 2020
আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের প্ল্যান! দুই বাংলাদেশি জঙ্গিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড NIA কোর্টের
হাথরস কাণ্ডে যেভাবে পরিবারের সম্মনতি ছাড়াই জোর করে নির্যাতিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন করল পুলিস, তাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। টুইটে তিনি লিখেছেন- “ভারতের এক কন্যাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হল। তথ্য ধামাচাপা দেওয়া হল। এবং সব শেষে নির্যাতিতার পরিবারের থেকে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার অধিকারও ছিনিয়ে নেওয়া হল। এটা অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং অন্যায়ও।”
মঙ্গলবার রাত আড়াইটায় পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে বন্ধ করে তরুণীর শেষকৃত্য করে দেয় পুলিশ। জোরজবরদস্তি। সেই নিয়ে পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট থেকে সাধারণ মানুষ। পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার অভিযোন মানেনি। জানিয়েছে, অভিযুক্ত চার জনকে দ্রুত জেলে পাঠানো হয়েছে।