৬ রাজ্যের ১১৬ জেলার শ্রমিকদের জন্য ‘গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান’ ঘোষণা মোদির
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: ৬ রাজ্যের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প উদ্বোধনে মোদি। লকডাউনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাজ ছেড়ে নিজেদের ঘরে ফিরেছেন লাখ লাখ শ্রমিক। কবে করোনার প্রকোপ কমবে তা কেউ বলতে পারছেন না। ওইসব শ্রমিকরা তাহলে কী করবেন? এই প্রশ্ন ছিলই। গ্রামেই থাকা শ্রমিক ও পরিযায়ীদের কষ্টের কিছুটা সুরাহা করার পথে পদক্ষেপ করল কেন্দ্র।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ও উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদির উপস্থিতিতে এই মেগা সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী৷ মোদির ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেবেন আরও ৫টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা৷ প্রকল্পটির ভার্চুয়াল উদ্বোধন হবে বিহারের খাগারিয়া জেলার তেলিহার গ্রামে৷ এদিন মোদি জানান, পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই প্রকল্পের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবার থেকে আপনারা আপনাদের ঘরের কাছেই কাজের সুযোগ পাবেন। গ্রামের উন্নয়নের অংশীদার হয়ে উঠবেন, প্রতিবেশীদের পাশে দাঁড়াতে পারবেন।’ করোনা ভাইরাসের জেরে বাড়ি ফিরে আসা লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে৷ যাতে তাঁরা সরকারি প্রকল্পে নিশ্চিত কাজের সুযোগ পান৷
১২৫ দিন ধরে ৬টি রাজ্যের ১১৬টি জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করা হবে৷ তাদের কাজের বন্দোবস্ত করা হবে স্কিল অনুযায়ী৷ বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা– এই ৬ রাজ্যের ১১৬টি জেলা এই প্রকল্পটির আওতায় থাকছে৷ লকডাউনের সময় সবচেয়ে বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছে এই রাজ্যগুলিতেই৷ দেশের গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য ২৫টি বিভিন্ন প্রকারের কাজ থাকছে গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানে৷ গ্রামীণ ভারতের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে৷
এবছরই বিহার বিধানসভার ভোট রয়েছে। বিপুল পরিমাণ শ্রমিক বিহার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজে যান। অনেকের মতে, ভোটের কোথা ভেবেই বিহারে এই প্রকল্প সূচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। ভুলে গেলে চলবেন না, দু’সপ্তাহ আগে বিজেপির ভার্চুয়াল জনসভার শুরুটাও হয়েছিল বিহার দিয়ে। শুধু তাই নয়। সেই সভায় প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে বক্তৃতার অনেকটা সময় ব্যয় করেছিলেন। লকডাউন পর্বে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার ছবি বারবার উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যমে। কাজ হারানো কাতারে কাতারে মানুষের বাড়ির উদ্দেশে হাইওয়ে ধরে হাঁটার ছবি দেখে অনেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন।