নাভালনির বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদে উসকানি’ দেওয়ার অভিযোগ, তদন্তের পথে মস্কো

মস্কো: পুতিনের কট্টর সমালোচক অ্যালেক্সেই নাভালনির বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদে উসকানি’র অভিযোগ এনেছে মস্কো। বিরোধী যে দলনেতাকে বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টার জন্য গত ৮ অক্টোবর রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি জানিয়েছে জার্মানি ও ফ্রান্স। মৃত্যুর দ্বার প্রান্ত থেকে ফিরে আসা সেই নাভালনিকে ‘সন্ত্রাসবাদে উসকানি’ দেওয়ার অভিযোগে তদন্তের মুখোমুখি করতে চাইছে মস্কো।
কি সেই বক্তব্য, যার মাধ্যমে নাভালনিকে ‘সন্ত্রাসবাদে উসকানি’ দিয়েছেন। সূত্রের খবর, এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখ ‘এখো মোস্কভি’ নামের একটি রেডিও চ্যানেলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাভালনি বলেন, ‘আমাকে অখুশি রাখতে সরকার যদি ৬ কোটি মানুষকে ক্ষুধার্ত রাখে, তাহলে এমন সরকারকে ছুঁড়ে ফেলা ভাল। আর তা করতে গেলে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করাও যুক্তিযুক্ত।’ নাভালনির এই বক্তব্যকেই হাতিয়ার করতে চাইছে পুতিন সরকার। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নাভালনি। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘নিজের বাঙ্কারে বসে পুতিন মনেপ্রাণে চাইছেন আমি যাতে দেশে না ফিরি। এবার তিনি আমার বিরুদ্ধে অপরাধিক মামলা করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আমাকে জেলে পুরার চেষ্টা করছেন।’ সূত্রের খবর, শুধুমাত্র মন্তব্যের জেরে নাভালনির বিরুদ্ধে মামলা দাঁড় করানো সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক এবং তার সরকারের ঊর্ধ্বতন কমর্কতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী প্রচারণার জন্য ৪৪ বছর বয়সী আলেক্স নাভালনি বেশ পরিচিত। গত জুনে আরও দুই দফা ক্ষমতায় থাকার জন্য রাশিয়ার সংবিধান সংশোধন করেন পুতিন। তখন ওই ঘটনাকে ‘সংবিধান লঙ্ঘন’ উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন নাভালনি। জানা যাচ্ছে, এর আগেও তিনি এই ধরনের শারীরিক হামলার শিকার হয়েছেন। গত বছর প্রশাসনিক গ্রেফতারের পর সাজা খাটার সময় বিষপ্রয়োগের কারণে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে সেসময় চিকিৎসকরা জানান, ‘তার শরীরে মারাত্মক অ্যালার্জেরিক অ্যাটাক হয়েছে।’ এবং পরদিন তাকে হাসপাতাল থেকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। এমনকি ২০১৭ সালে তাকে লক্ষ্য করে জীবাণুনাশক ছোড়া হয়।