যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের ‘গরিব কল্যাণ’ অন্ন যোজনা মূলত গরীব মানুষদের জন্যই। গরীবদের সুবিধা দেওয়ার জন্যই এই যোজনা চালু করেছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু তার পরেও জনগণের নিজস্ব কিছু ভুলের জন্য এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। ফলে এই যোজনার সুবিধা পাবেন না দেশের অধিকাংশ দরিদ্রই। আর তাদের সুবিধা না পাওয়ার পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। মাত্র কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্যাবিনেট যখন অন্ন যোজনা স্কিমের মেয়াদ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্তে শিলমোহর দেন, তখন নিশ্চই অনেকেই শ্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন। সঙ্গে আশাও বেড়েছিল নিজেদের পরিস্থিতির উন্নতির। বর্তমানে ফুড কর্পোরেশনের কাছে ১০ কোটি টন খাদ্য শস্য রয়েছে। তবে দেশের অর্থনীতির চাকা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
তবে এই এনএফএসএ তালিকায় ১০০ মিলিয়ন নাম আপডেট হয়নি কেন? মনে করা হচ্ছে আধআর লিঙ্ক করে এই প্রক্রিয়া করা কথা থাকার জেরে অনেকেই তা পারেননি। এই ডিজিটাল জটিলতার মধ্যে পড়ে তাই এই দুর্দিনে তাঁরা অন্নের অভাবে ভুগছেন। এত কোটি টাকার স্কিম ঘোষণা করার পরও তাই দেশের অধিকাংশ গরিব মানুষ বঞ্চিত থেকে যাবেন, এমনই মত এক ন্যাশনাল সংবাদ মাধ্যমের।
আরও পড়ুন: ভারতের কায়দায় ডিজিটাল স্ট্রাইক আমেরিকার, নিষেধাজ্ঞা টিকটক সহ ৫৯ টি চিনা অ্যাপে
এর আগে প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের এখানে বৃষ্টির সময় ও পরে কৃষিক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়। পাশাপাশি জুলাই থেকে ধীরে ধীরে উৎসব-পার্বন শুরু হয়। রাখি বন্ধন, জন্মাষ্টমী, দুর্গাপুজো, ছটপুজো, দীপাবলি একের পর এক উৎসব চলতে থাকে। এইসময় প্রয়োজনের পাশাপাশি খরচও বাড়ে। আর একথা মাথায় রেখেই সরকারের তরফে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার মেয়াদ নভেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত বাড়ানো হল। অর্থাৎ ৮০ কোটির বেশি পরিবারকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার এই যোজনার মেয়াদ আরও পাঁচমাস বাড়ল। এই পাঁচ মাস পরিবার প্রতি সদস্যের ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। এর সঙ্গে একমাস অন্তর ডালশস্য দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি আইনটি কার্যকর করা হলে, ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য কেবলমাত্র দুই তৃতীয়াংশ ভারতীয়কেই সরবরাহ করার কথা বলা হয়। অর্থনীতিবিদরা অনুমান, তার পর থেকে, এনএফএসএ তালিকায় ১০০ মিলিয়ন নাম আপডেট হয়নি। এর অর্থাৎ দেশের অধিকাংশ গরিব মানুষ এই করোনা পরিস্থিতিতে অন্ন যোজনা থেকে বঞ্চিত থাকবেন।