রাতের অন্ধকারে ঠাকুরবাড়িতে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা, প্রাণনাশের আশঙ্কা সাংসদ শান্তনুর
রক্তিম দাশ, কলকাতা: মতুয়া তীর্থ ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে আমফানের কারণে বিদুৎ না থাকার সুযোগে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে নিজের ও পরিবারের প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন বনাগাঁর সাংসদ তথা মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর।
সোমবার যুগশঙ্খকে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘গত লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে যাওয়ার সময় আমার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছিল গাড়ির দুর্ঘটনা ঘটিয়ে। তার আজ পর্যন্ত কোনও তদন্ত হয়নি। এখন আমফানের কারণে ঠাকুরনগরে বিদুৎ নেই। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে প্রতিরাতেই ঠাকুরবাড়িতে সশ্রস্ত্র দুষ্কৃতীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার লোকজন বাইরে বের হলে তারা পালিয়ে যাচ্ছে। এমত অবস্থায় আমি আমার ও পরিবারের নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। যেকোনও সময় আমার প্রাণনাশের চেষ্টা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।’
নিরাপত্তা নিয়ে তাঁর পুলিশের ওপর আস্থা নেই বলে, শান্তনুবাবু বলেন,‘ কয়েকদিন আগে ঠাকুরবাড়ি থেকে রাতে আমার গাড়ির চালক জয়ন্ত বলকে পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে তুলে নিয়ে গেছে। তাকে নারকোটিক্সের মামলা দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের কারণে বারুণী মেলায় এসে ঠাকুরবাড়িতে আটকে পড়া মতুয়াদেরও বারবার হেনস্থা করা হয়েছে।’ শান্তনুবাবু অভিযোগ করে বলেন,‘ কেউ আমার কাছে দেখা করতে এলে পুলিশ তাঁকে ধাওয়া করছে। সাংসদের বাড়িতে সাধারণ মানুষ আসবে না? ঠাকুরবাড়িতে এসব চললে সাধারণ মতুয়া ভক্তরা ভয়ে আসা বন্ধ করে দেবেন। এরপরেও বলেন পুলিশ আমার অভিযাগ নেবে? ২০১৮ সালে ঠাকুরবাড়িতে মিথ্যা চুরির অভিযোগে আমায় জেলে পাঠিয়েছিল তৎকালীন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। গত তিন বছর ধরে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর তা আরো বেড়ে গিয়েছে।’
শান্তনু ঠাকুর বলেন,‘ রবিবার আমি ও বিজেপির রাজ্য নেতা সঞ্জয় সিং তিনটে মোটরবাইকে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলি পরিদর্শনে বের হয়েছিলাম। দেবিপুরে জাতীয় সড়কের উপর এসডিপিও এবং গাইঘাটা থানার ওসি আমাদের ইচ্ছাকৃত আটকে দেন। তাঁদের বক্তব্য আমরা সামাজিক দূরত্ব মানছি না। মাত্র ৬ জন মানুষ তিনটে বাইকে সামাজিক দূরত্ব মানা হলো না? অথচ তৃণমুলনেতারা দলবল নিয়ে বের হচ্ছেন।’
ক্ষুব্ধ শান্তনুবাবু বলেন, ‘এসব ঘটনার পিছনে রয়েছে স্থানীয় তৃণমূলে নেতারা। আর এর পিছনে ইন্ধন দিচ্ছে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আমার বা আমার পরিবারের কিছু হলে এর জন্য এরা দায়ি থাকবেন তা যেন এরা মনে রাখেন।’