২১ শে-র আগেই ভাগ্য খুলছে মুকুলের, পেতে পারেন বড় পদ

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৭ সালে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। তারপর আড়াই বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু কোনও পদ নেননি। নিজেই জানিয়েছেন, কোনও পদের দরকার নেই তাঁর, তিনি শুধু চান মমতাকে হারাতে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারর পতনের জন্য যে মুকুলের সহযোগিতা একান্তই দরকার, তা মোদী-শাহের থেকে কেউ ভালো বোঝেন না। রাজ্য বিজেপিতে মুকুলের কোনও পদ নেই ঠিকই, তবে তিনি গুরুত্বহীন নন। বরং মোদী-শাহরা তাঁকে বেশি করেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই তো মুকুলকে ‘ফ্রি’ খেলোয়াড় হিসেবে ব্যবহার করার বার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ। তবে মুকুলকে নিয়ে অন্য ভাবনাও রয়েছে বিজেপিতে, তার ইঙ্গিতও মিলেছে। সেই কারণেই জল্পনা শুরু হয়েছে মুকুল রায়কে নিয়ে।
মুকুল রায় পদ না চাইলেও ২০২১-এর আগে তাঁকে কোনও একট বড় পোস্ট দেওয়া হতে পারে। কেননা বড় পোস্ট পেলে, তাঁর সুবিধা হবে রাজ্যে বিতরণ করতে। সহজে বাধার মুখে পড়বেন না তিনি। মুকুল রায় কতটা ভাঙতে পারেন তৃণমূলকে, কতটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেন তাঁর পুরনো দলকে, তার উপর নির্ভর করছে বিজেপির ভাগ্য।
আরও পড়ুন: গুজরাট ফেরত পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত, গারুলিয়ায় চাঞ্চল্য
মুকুল রায় তৃণমূলে থাকাকালীন জাহাজ প্রতিমন্ত্রী আবার রেলমন্ত্রীও ছিলেন। ফলে মন্ত্রিত্বের আটঘাট তাঁর ভালোই চেনা। তিনি এই বিষয়ে বিজেপির অনেকের থেকে বেশ পোড়খাওয়া। এমনকী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বর্তমান রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল, নির্মলা সীতারমনদের থেকে অনেক আগে তিনি মন্ত্রিত্ব সামলেছেন। তাই মুকুল রায়কে কোনও একটা মন্ত্রকে দেখা যেতে পারে।
ক্রমশই জল্পনা বাড়ছে মুকুল রায়কে নিয়ে। মুকুল রায়কে কেন্দ্রীয় সংগঠনে কোনও পদ দেওয়া হতে পারে। সেইসঙ্গে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে মন্ত্রীও করা হতে পারে। দুটোর কোনও একটি ক্ষেত্রে তাঁর আবির্ভাব হচ্ছে বলে ধরেই নিয়েছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এমনকী দুই ভূমিকাতেও তাঁকে দেখা যেতে পারে।