পারিবারিক বচসার জের, হাতুড়ির ঘা মেরে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা, মেয়ের অভিযোগে আটক বাবা

অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা: নিম্নবিত্ত পরিবারে আর্থিক সমস্যা এবং তার জেরে পারিবারিক গণ্ডগোল হয় অনেক পরিবারেই। কিন্তু পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি তপন পুরকাইত বুধবার সকালে যে কাণ্ড ঘটালেন, তাতে রীতিমত স্তম্ভিত কসবার সুইনহো লেনে তাঁর প্রতিবেশীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় স্ত্রী মঙ্গলা পুরকাইতকে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে পুলিশ। এরপর মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে বাবা তপন পুরকাইতকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলা দেবীর পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই বাড়ি থেকে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ প্রায় প্রত্যেকদিনই ভেসে আসত। বিভিন্ন পরিবারের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় বলে খুব একটা মাথা ঘামাতেন না বাসিন্দারা। কিন্তু এদিন সকালে আচমকাই মঙ্গলাদেবী চিৎকার করতে থাকেন, ‘বাঁচাও, বাঁচাও, মেরে ফেলল রে।’ কিছু একটা অঘটন হয়েছে বুঝতে পেরে তারা ছুটে গিয়ে দেখেন, ঘরের বিছানায় রক্তের মধ্যে কাতরাচ্ছেন মঙ্গলাদেবী, দেওয়ালেও রক্তের দাগ। পাশে রক্তমাখা হাতুড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে তপন। কি হয়েছে আর কারোর বুঝতে দেরি হয়নি।
সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মঙ্গলাদেবীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে প্রতিবেশীরা ঘিরে রাখায় পালাতে পারেননি তপন। এরপর বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মেয়ে সুতপা পুরকাইত। তাঁর অভিযোগ পেয়ে তপনকে আটক করে কসবা থানার পুলিশ।