
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে দেশের মেয়েদের বিয়ের বয়স নিয়ে নতুন করে ভাববে দেশ, স্বাধীনতা দিবসে ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিয়ের ন্যূনতম বয়স, বিশেষত মহিলাদের জন্য এটি একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে। যে আইন এখন নির্ধারিত রয়েছে সেই অনুযায়ী বিয়ের সর্বনিম্ম বয়স ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর এবং মেয়েদের জন্য ১৮ বছর। যদি ধর্মীয় এবং সামাজিক রক্ষণশীলদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে এই আইনকে। এবার মেয়েদের বিয়ের বয়স ২১ না করার আরজি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুসলিম লিগের মহিলা শাখার
মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স কত হওয়া উচিত, তা পুনর্বিবেচনা করে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, শীঘ্রই মহিলাদের বিয়ের উপযুক্ত বয়স নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এরই মধ্যে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ না করার আরজি জানিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখল মুসলিম লিগের মহিলা শাখা। তাদের অনুরোধ, এবিষয়ে যেন হঠাৎ করে কোনও সিদ্ধান্ত না নেয় কেন্দ্র। মহিলা শাখার সম্পাদক পিকে নুরবানা রশিদ ওই চিঠিতে দাবি করেছেন, বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়ানো হলে ‘লিভ ইন’ সম্পর্ক কিংবা অবৈধ সম্পর্কের সংখ্যা বাড়বে।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত! হাসপাতলে ভর্তি ‘হরিয়ানা হ্যারিকেন’
তিনি ওই চিঠিতে আরও জানিয়েছেন, যেখানে জৈব ও সামাজিক কারণে বহু উন্নয়নশীল দেশ বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ করা হচ্ছে, সেখানে ভারতের এই বিষয়ে কোনও হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে না। তিনি আরও লেখেন, ‘‘সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, গ্রামীণ এলাকায় ৩০ শতাংশ মেয়েদের বিয়ে ১৮ বছর হওয়ার আগেই হয়ে যায়। তাহলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কী অর্থ যেখানে বর্তমান আইনই সঠিক ভাবে কার্যকর করা যায় না?’’ তিনি আরও জানান, শুধু কেরলেই গত বছর বিয়ের বয়স না হওয়ার আগে প্রায় তিনশোটি মেয়ের বিয়ে হয়েছে।