আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ফের ৭ দিন সময়সীমা, বন্ধ রফতানি, প্রয়োজনে নামবে টাস্ক ফোর্স: নবান্ন

অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা: বেশ কিছুদিন আগেও আলুর দাম কমাতে আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু আলুর দাম তো কমেইনি, উলটে আরও বেড়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। তাই এবার আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে কড়া সিদ্ধান্ত নিল সরকার। রফতানি বন্ধ রেখে আগামী ৭ দিনের মধ্যে আলুর দাম কমিয়ে প্রতি কেজি ২৫ টাকায় বিক্রি করতে হবে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
করোনার জেরে এমনিতেই মানুষের উপার্জন কম। তারপর সবজিসহ আলুর দাম বৃদ্ধিতে রীতিমত নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। অথচ আলু এমন একটি সবজি যা কিছুতেই ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। এদিকে ডাউনের বাজারে আলুর দাম বেড়ে গিয়েছে।
এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা দেখেন, পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধির ফলে প্রভাব পড়েছে খুচরো বাজারে। আলু ব্যবসায়ীদের দাবি, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে আলুর ফলন কিছুটা কম হয়েছে। কিন্তু নিয়মমতো আলু রফতানি হয়ে যাওয়ায় আলুর দাম বেড়ে গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কৃষি দফতরের আধিকারিকরা আলু ব্যবসায়ীদের নবান্নে বৈঠকে ডাকেন। সেই বৈঠকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়, হিমঘর থেকে আলু বের হবে ২২ টাকা কেজি দরে। এরপর ওই আলু বাজারে আসবে ২৩ টাকা প্রতি কেজি দরে। শুধু ২ টাকা জ্বালানির দর রেখে সাধারণ মানুষ তারপর বাজার থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু পাবেন। এদিন নবান্নে বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ৭ দিনের মধ্যে যদি দাম না কমে, তাহলে পাইকারি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার।
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আরো বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
আপাতত রাজ্যের বাইরে আলু পাঠানো সরকার নিষিদ্ধ করা হবে এবং এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকেও প্রয়োজনে কাজে লাগানো হবে তারা বিভিন্ন বাজারে ঘুরে পরিস্থিতি দেখে সরাসরি নবান্নে রিপোর্ট দেবেন। তাই কোন অসাধু ব্যবসায়ী যদি ফাঁকতালে লাভের জন্য আলুর দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে রাজ্যের সুফল বাংলা স্টলেও কেজি প্রতি আলু বিক্রি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।