মিথ্যা চাপতে বিতর্ক তৈরি করে মুখরক্ষার চেষ্টা নবান্নের: দিলীপ ঘোষ
শরণানন্দ দাস,কলকাতা: পরিযায়ী শ্রমিক বিতর্কে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। শুরুটা হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের চিঠি দিয়ে। এরপর নবান্নে শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গত ৩ মে থেকে বিভিন্ন রাজ্যকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
রাতে রেলের তরফে থেকে তিনটি টুইট করে জানানো হয়, শনিবারই রাজ্যের তরফে পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার জন্য ৮ টি ট্রেনের আবেদন করা হয়েছে এবং রেল তা মঞ্জুর করেছে। এরপর রাত ১১ টা নাগাদ রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে বলেন, রেলের দাবি ঠিক নয়। শনিবার নবান্ন থেকে রেলমন্ত্রকে কোনও চিঠি পাঠানো হয়নি।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘মিথ্যা চাপতে বিতর্ক তৈরি করে মুখরক্ষার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।’
তিনি বলেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর বিষয়ে ভাবনা চিন্তাই করেনি রাজ্য। ভাবতেও যে রাজি নয় তাদের ব্যবহারে বোঝা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ভারতীয় রেল বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিকদের আনার জন্য ৩০০টি ট্রেন চালিয়েছে, ৩ লক্ষ শ্রমিককে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশে অধিকাংশ ট্রেন গিয়েছে। সেখানে রাজ্য সরকার মাত্র ২টি ট্রেনে ২ হাজার জনকে নিয়ে এসেছে।’
মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘এতদিন রাজ্য সরকার কিছু করেনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি পাওয়ার পর মিথ্যা চাপার জন্য বিতর্ক তৈরি করে মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করছে। উত্তরপ্রদেশে এ রাজ্যের কিছু ছেলেমেয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। তাঁদের ফেরানোর জন্য কোনও চেষ্টাই রাজ্য করছে না। গুজরাটে বাংলার কিছু শ্রমিক আটকে রয়েছেন। তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।
নলহাটিতে ঝাড়খণ্ডের যে শ্রমিকরা বরাতজোরে ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন তার জন্য রাজ্য সরকারই দায়ী। বাংলায় আটকে থাকা শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে ঝাড়খণ্ড সরকার ৯ টি বাস পাঠিয়েছিল। রাজ্য সরকার ঢুকতে দেয়নি। এখন ফালতু বিতর্ক তৈরি করে কেন্দ্রকে দোষ দেওয়ার চেষ্টা।