
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উচ্চ শিক্ষায় পড়ুয়াদের পড়ার সুযোগ সঙ্কোচনে তীব্র প্রতিবাদ জানাল জাতীয় অধ্যপক ও গবেষক সংঘ। তাদের আভিযোগ, লেডি ব্রেবাের্ন কলেজের অধ্যক্ষা অন্যায় ভাবে আসন সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন। এতে সাধারণ পড়ুয়াদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হবে। বুধবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে জাতীয়তাবাদী অধ্যাপক ও গবেষক সঙ্ঘের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ সরকার জানান, রাজ্য সরকারী কলেজ, লেডি ব্রেবাের্ন কলেজে বিভিন্ন বিভাগের অনার্সের আসন সংখ্যা শতকরা গড়ে ২০ শতাংশ কমানাে হয়েছে। কিছু কিছু বিষয়ে শতকরা ৩০ – ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। যেমন বাংলা বিভাগে ৫১ টা আসন থেকে কমে ৪০ টা , রসায়নে ৪১ টা থেকে কমে ৩০ টা করা হয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অধ্যক্ষার সুপারিশ ছিল ২৫ টা করার। এই ভাবে চারটি বিষয় ছাড়া সকল বিষয়ে আসন কমায় আমরা খুবই সঙ্কিত। সরকারি কলেজের পরিকাঠামাে ভালাে ও শিক্ষকসংখ্যা বেশী থাকায় মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের প্রথম পছন্দ সরকারি কলেজ।
উল্লেখ্য, অন্যান্য সরকারি কলেজ যেমন বেথুন বা মৌলানা আজাদ কলেজে শিক্ষক সংখ্যা লেডি ব্রেবাের্ন কলেজের তুলনায় কম থাকলেও তারা আসন সংকোচনের পথে হাটেনি। অপর দিকে অন্য সরকারি কলেজের তুলনায় এই কলেজের ছাত্রীদের ভর্তি ফিও অনেক বেশী। একইসঙ্গে এই কলেজে প্রচুর সংখ্যালঘু , তপসিলি জাতি, তপসিলি উপজাতি ও আর্থিক সাচ্ছন্দহীন পরিবারের মেয়েরা ভর্তি হতে আগ্রহ প্রকাশ করে। স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে, আসন কমিয়ে মেধাবী ছাত্রীদের প্রাইভেট কলেজে প্রচুর অর্থব্যায়ে ভর্তিতে বাধ্য করা হচ্ছে কার স্বার্থে ? লেডি বেবাের্ন কলেজের অধ্যক্ষা নিজে একজন উচ্চ শিক্ষিত পরিবারের বিদুষী কন্যা হয়ে এরকম ভাবে মেধাবী ছাত্রীদের বঞ্চিত করতে চাইছেন এবং কোন রহস্যজনক কারন হেতু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর অনুমােদন করেছে তা বােঝা মুশকিল ।
এটা কি ধরনের প্রভাবের ইঙ্গিত দিচ্ছে ? এই দেখে মনে হয় যে শিক্ষা প্রসারের বদলে রাজ্য সরকার উচ্চশিক্ষার সংকোচনকেই মদত দিচ্ছে । ছাত্র – ছাত্রীদের কথা ভেবে অখিল ভারতীয় শৈক্ষিক মহাসঘের পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষার শাখা জাতীয়তাবাদী অধ্যাপক ও গবেষক সংঘ এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় । এই তুঘলকি কান্ড অবিলম্বে শিক্ষা দপ্তরকে বন্ধ করতে হবে এবং অন্য কলেজে যেন এর পুনরাবৃতি না হয় দেখতে হবে।