
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা ফিল্ম ইন্ডিস্ট্রির ‘স্বজনপোষণ’ নিয়ে মুখ খুলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সরাসরি কিছু না বলেও নানান আলোচনায় অনেক কথাই খোলসা করলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমার ক্যারিয়ারের দিকে দেখলে বুঝবেন, আমি যখন মেইনস্ট্রিম সিনেমা করতাম, তখনো অনেক নতুন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি। আজ হয়ত তারা স্বনামধন্য। সেই পরিচালকরা প্রথম যখন কাজ শুরু করেছেন, তখন তারা কারোর না কারোর সহযোগী হিসাবে কাজ করতেন।তাদের মধ্যে কেউ হয়ত আমায় এসে বলেছিলেন, তুমি যদি ছবিটা করো, তাহলে প্রযোজক পাই। আমি করেছি। সেখান থেকে তারা অনেকে ব্রেকও পেয়েছেন। পরবর্তীকালে তারাই আবার ভালো পরিচালক হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন। যদিও তাদের সব ছবিতেই যে আমি কাজ করেছি, তেমনটাও নয়।
তিনি বলেন, আমার কেরিয়ারেও এমন সময় এসেছিল, যেখানে ৬ মাস আমার কাছে কোনও কাজ ছিল না। ওই ৬ মাস আমি নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। পরে আবার ফিরে এসেছি। আবার আমি যখন টেলিভিশনে কাজ করেছি, তখনও এক ঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে কাজ করেছি।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, ”বাংলা ছবিতে তিন ইয়ারি কথা সিনেমার ভাষায় একটা বড় পরিবর্তন এনেছিল। যেখানে পরম, রুদ্র, নীল ছিল। ওরা তখন অনেক ছোট। সেটাও রানা, সুদেষ্ণার ছবি। আমার কেরিয়ারে অটোগ্রাফ অন্যতম ছবি। অথচ যখন অটোগ্রাফ হয়েছিল সৃজিত নতুন। আমার চিত্রনাট্য শুনে মনে হয়েছিল, ও নতুন দর্শক তৈরি করতে চাইছে। তবে ছবিটা যে এতটা ভালো হবে, সেটা হয়ত তখন বুঝিনি। পরবর্তীকাল বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সৃজিতের মতো ভালো পরিচালক পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণের জের, অভিমানে MAMI ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের বোর্ড থেকে ইস্তফা করণ জোহরের!
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ব্যাপারে এই অভিনেতা বলেন, যে চলে গেছে, সে আমার ছেলের মতো। কিছু ঘটনার কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়াটাও কঠিন। কোনো ভাষা নেই। এটা সমস্ত ভাবনার উর্ধ্বে। আর বাকিটা যেটা চারিদিকে চলছে, সেটা নিয়ে আমি সত্যিই কিছু বলতে চাই না।আশা রাখি, একটা সময় মানুষ ঠিক বুঝবেন। যদি আমি কারোর কাছে কোনো অন্যায় করে থাকিও, হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে কোনো অসুবিধা নেই। যদিও আমি জানি, কোনো অন্যায় করিনি। যা কিছু চারিদিকে চলছে, আমার মনে হয় বিবেচনা করার প্রয়োজন আছে। এই বিষয়টি নিয়ে আমি কোনো আলোচনাই করতে চাই না।