পশ্চিম মেদিনীপুরে নতুন করে করোনা সংক্রমণ, তৈরি হল দুটি কনটেইনমেন্ট জোন
জেলা প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর:- নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোনা পুরসভা এলাকায়। কলকাতায় পুলিশে কর্মরত এক ব্যক্তি নিজের গ্রামের বাড়িতে এসে কলকাতায় ফিরে গিয়েই করোনা সংক্রমিত বলে ধরা পড়েছেন। তারপরে ওই ব্যক্তির পরিবার আত্মীয় স্বজনদের কোয়ারেন্টাইন করে এলাকাকে ঘিরে ফেলা হল বাঁশ দিয়ে।বন্ধ করা হয়েছে চন্দ্রকোনার একটি নার্সিংহোম কেও। সেইসঙ্গে মেদিনীপুর শহরের আরও একটি নার্সিংহোমেও বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলে করা হল কনটেইনমেন্ট জোন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা পুর এলাকায় করোনা আক্রান্ত হলেন এক পুলিশ কর্মী। জানা যায়, ওই ব্যক্তি পুলিশকর্মী, কলকাতার এক প্রাক্তন মন্ত্রীর দেহরক্ষী।গত ১১ মে তিনি নিজের গ্রামের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন মল্লেশ্বরপুরে। ওই দিন বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন। পথে বাইক দুর্ঘটনায় চোট পান। পায়ের হাড় ভেঙে যাওয়ায় তাকে ভর্তি করা হয়েছিল ওই এলাকাতেই থাকা চন্দ্রকোনার একটি নিজ আত্মীয়ের নার্সিংহোমে। সেখান থেকে পরে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার মুকুন্দপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে।১২ মে তাকে ভর্তি করার সময় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল রুটিন মাফিক। ১৪ মে বিকেলে তিনি করোনা পজিটিভ ধরা পড়েন। এরপরই শুরু হয়ে যায় স্বাস্থ্য দফতরের তৎপরতা।
জেলা পুলিশের তরফে সিল করার প্রক্রিয়া শুরু হল চন্দ্রকোনার মল্লেশ্বরপুর এলাকা। শুক্রবার সকাল থেকেই রীতিমতো বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে গোটা এলাকা। বন্ধ করা হয় চন্দ্রকোনার ওই নার্সিংহোম। কোন কোন ব্যক্তি ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে তাও খোঁজখবর নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রশাসনের আধিকারিকরা।
অন্যদিকে মে মাসের শুরুতে ঘাটালের ক্ষীরপাই এলাকার এক বৃদ্ধ হার্টের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসার জন্য মেদিনীপুর শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসার একদিন পর কলকাতায় গিয়ে পেসমেকার বসানোর পূর্বে করোনা সংক্রমিত বলে শনাক্ত হয়েছিলেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর পদক্ষেপ নিতে গিয়ে জানতে পারে চিকিৎসা করা নার্সিংহোমটির আরও এক নার্সের করোনা সংক্রমিত হয়েছে। জেলার টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুসারে শুক্রবার সকাল থেকে ওই নার্সিংহোমের চারদিকে বাঁশ দিয়ে ঘিরে কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।