ভিড় এড়াতে নয়া পন্থা! এবার থার্মাল গান দিয়ে পরীক্ষার পরেই বাসে উঠতে পারবেন যাত্রীরা
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গ্রিন এবং অরেঞ্জ জোনের নন-কনটেনমেন্ট জোনে ২০ জনের বেশি যাত্রী উঠতে পারবেন না বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথম দিনের যাত্রাতেই দেখা যায়, গাদাগাদি করে বাসে লোক ওঠানো হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় লোক নামাতে দৌড়তে হয় পুলিশকে। তাই এবার নয়া পন্থা বার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, এখন থেকে রাজ্য সরকারি বাসে উঠতে গেলেই এবার থার্মাল গান দিয়েই পরীক্ষা করে তবে বাসে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে যাত্রীদের।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতার একাধিক জায়গায় বাস স্ট্যান্ডে পরীক্ষা করা হল থার্মাল গান দিয়ে। রাজ্য পরিবহন দফতর সূত্রে খবর, যদি থার্মাল গান দিয়ে পরীক্ষায় কোনও শারীরিক তাপমাত্রার তারতম্য ঘটে থাকে তাহলে স্বাস্থ্য কর্মীদের বা পুলিশকে জানানো হবে। আর সেই যাত্রী বাসে উঠতে পারবেন না। প্রথম দিনেই সরকারি বাসের গাদাগাদি ভিড়ের চেহারা নজর এড়ায়নি খোদ পরিবহণ মন্ত্রীর। তিনি ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে। এরপরেই এই নিয়ম চালু করতে সরকারি বাসগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার।
আরও পড়ুন: ভিন রাজ্যে আটকে পড়া মানুষদের অবিলম্বে রাজ্যে ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ বাম গণ সংগঠনগুলির
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ নিগম কলকাতার জন্য মোট ১৫টি রুটে বাস পরিষেবা চালু করেছে। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলাচল করছে এই বাসগুলি। কলকাতায় এই বাস পরিষেবা চালু হয়েছে আপাতত ৬০টি বাস দিয়ে। আগামী কয়েকদিন দেখে নেওয়া হবে, কত সংখ্যক যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে কিনা। যে কতকগুলি বাস যাতায়াত করছে সেগুলিকে প্রতিনিয়ত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। চালক ও কন্ডাক্টরদের বিশেষ পোশাক, স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে।
পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, “স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনেই আমরা বাস চালাচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি কি তার রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। সেই মোতাবেক দফতর ব্যবস্থা নেবে।” তবে চালক ও কন্ডাক্টরদের একাংশ জানিয়েছেন, যাত্রীদের বললেও তারা কথা শুনছেন না। জোর করে বাসে উঠে পড়ছেন। বারণ করতে গিয়ে কন্ডাক্টর ও চালককে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই কারণেই এই নয়া নিয়ম।