গুরুত্বপূর্ণদেশহেডলাইন
আর্থিক প্যাকেজের তৃতীয় দফায় কৃষি, মাছ চাষ এর প্যাকেজ ঘোষণা সীতারামনের
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের তৃতীয় দফার ব্যাখ্যা দিলেন সীতারমন। কৃষি, দুধ, পশুপালন, মৎসজাত পণ্যের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর। কৃষিক্ষেত্রে ১১টি ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা কেন্দ্রের।
এক নজরে আর্থিক প্যাকেজ:
- কেন্দ্রের তরফ থেকে আইন প্রণয়ন করা হবে যাতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কোনও অসুবিধা না হয়। তাঁদের পণ্য ই-ট্রেডের সুযোগও পাবে। অন্য কোনও শিল্পে শিল্প সংস্থার উৎপাদিত পণ্য কোনও নির্দিষ্ট লাইসেন্সধারীকে বিক্রি করতে হয় না। একমাত্র কৃষকদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম থাকবে কেন? চাষিরা যেখানে বেশী দাম পাবেন সেখানেই পণ্য বিক্রি করবেন।
- অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আইনে সংশোধন আনা হবে। খাদ্যশস্য, তৈলবীজ, পেঁয়াজ এবং আলুর মজুতের উপর কোনও নিয়ন্ত্রন থাকবে না। একমাত্র অতিশয় ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে এসব পণ্যের মজুত নিয়ন্ত্রন করা যাবে।
- লকডাউনের কারণে আলু, পেঁয়াজ, টমেটোর মতো কৃষিপণ্যের সাপ্লাই চেনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর কৃষিপণ্য পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় চাষিদের কৃষি পণ্য পরিবহনের জন্য ৫০% ভর্তুকি দেওয়া হবে। আরও ৫০ শতাংশ ভর্তুকি কোল্ড স্টোরেজে মজুদ করার জন্য দেওয়া হবে। এর জন্য মোট ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
- মৌমাছি চাষের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এতে লাভবান হবেন ২ লক্ষেরও বেশি মৌমাছি চাষি। এর ফলে মধুর উৎপাদন বাড়বে এবং বিশ্ব বাজারে অনেক সুযোগ বৃদ্ধি করবে।
- ভেষজ চাষের জন্য ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। এই প্রকল্পে ২৫ লক্ষ হেক্টর জমি ভেষজ উদ্ভিদ চাষের জন্য ভবিষ্যতে ব্যবহার করা হবে।
- গঙ্গার দু’ধারে ভেষজ উদ্ভিদ উৎপাদনের জন্য জোর দেওয়া হবে এবং গঙ্গার ধারে এরকম ৮০০ হেক্টর জমি উর্বর জমি চিহ্নিত করা হবে।
- পশুপালনের ক্ষেত্রে ১৩৩৪৫ কোটি টাকা খরচ করা হবে গৃহপালিত পশুদের টিকাকরনের জন্য। এই টাকায় ৫৩ কোটি পশুকে ১০০ শতাংশ টিকা দেওয়া হবে। এতে দুধ উৎপাদন বাড়বে। রফতানি বাজারও অটুট থাকবে।
- মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার জন্য নৌকা দেওয়া হবে এবং মৎস্য বন্দর গড়ে তোলা হবে। তাদের বিমার ব্যবস্থাও করা হবে। অন্যদিকে আবহাওয়ার জন্য বছরের অনেকটা সময়ই মৎস্যজীবীরা মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে তাদের জন্য বিশেষ আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।
- কোনও শিল্প সংস্থাকে আলাদা করে অর্থ দেওয়া হবে না। শিল্পতালুককে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
- কৃষকদের আয় বৃদ্ধি এবং এবং পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য বিশেষ ১ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। এই ১ লক্ষ কোটির প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে হিমঘর এবং শস্য গুদামও।
- সমবায় সমিতি থেকে গত দু মাসে ৫৬০ লিটার দুধ কেনা হয়েছে।
- ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের জন্য ৭৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এই টাকা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে। লকডাউন কৃষকদের ১৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ট্র্যান্সফার। এই টাকা দেওয়া হয়েছে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। গত দুমাসে এই টাকা ট্রান্সফার করেছে কেন্দ্র।