
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী সপ্তাহেই বিধানসভা নির্বাচন বিহারে। জোরকদমে চলছে প্রচার। শাসক বিরোধী কেউই এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নয়। আর ভোটপ্রচারের মাঝেই মেজাজ হারালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বুধবার তাঁর সভার মাঝেই স্লোগান উঠল ‘লালু জিন্দাবাদ। আর তা শুনে নিজের বক্তৃতা থামিয়ে উপস্থিত জনতাকে রীতিমতো ধমকের সুরে চুপ করান জেডিইউ নেতা। মঞ্চে নীতীশ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের(আরজেডি) প্রাক্তন নেতা চন্দ্রিকা রাই।
২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। তাই এদিন বিহারের সরণ জেলার পারসা বিধানসভা ক্ষেত্রের ডেরনিতে ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। মঞ্চে তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রাক্তন নেতা চন্দ্রিকা রাই। তিনি এবার ওই আসন থেকে জেডিইউ-র প্রার্থী। তাঁর হয়ে ভোটপ্রচার করছিলেন নীতীশ। তাঁর বক্তৃতা চলাকালীন সমাবেশের মধ্যে থেকে স্লোগান ওঠে ‘লালু জিন্দাবাদ’। আর তাতেই বেজায় চটে যান নীতীশ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জিতলে ১৯ লক্ষ চাকরি, ফ্রি-তে করোনা টিকা, ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির
নীতীশ কুমার মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। হঠাত্ই সমাবেশের মধ্যে থেকে স্লোগান ওঠে ‘লালু জিন্দাবাদ’। বেজায় চটে যান নীতীশ। মাঝপথেই বক্তৃতা থামিয়ে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘ভাই হাত ওঠান একটু, মাঝে কী যেন বলছিলেন আপনারা?’ সঙ্গে সঙ্গে সমাবেশ থেকে একটা কোলাহল ওঠে। এ বার ধমকের সুরে নীতীশ বলেন, “এখানে এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করবেন না। যদি ভোট না দিতে চান, দেবেন না। কিন্তু এ ভাবে হল্লা করা কি ঠিক?” ফের সমস্বরে সমাবেশ থেকে আওয়াজ ওঠে— ‘না’।এর পরই নীতীশ বলেন, “এ ভাবে হল্লা করলে হবে না। যাঁর ভোটের জন্য এখানে এসেছেন, তাঁর ভোটও নষ্ট করবেন আপানারা। এ রকম শিশুসুলভ আচরণ করবেন না।” চন্দ্রিকা রাইয়ের সমর্থনে ভোট প্রচারে এ দিন পারসাতে গিয়েছিলেন নীতীশ। কিন্তু বক্তৃতার মাঝপথে এমন স্লোগান শুনে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েন তিনি।