fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

হয়নি রাস্তা সংস্কার, পদত্যাগ করলেন ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্যা

দিব্যেন্দু রায়, ভাতার: গ্রামের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পঞ্চায়েতের কাছে বারবার আবেদন জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কাজ করাতে না পেরে বিডিওর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন ভাতার পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত বেলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তনু মাঝি নামে তৃণমূল কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্যা। তনুদেবীর অভিযোগ, বেহাল রাস্তার কারনে গ্রামবাসীদের কাছে তাঁকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। অথচ রাস্তা সংস্কারের জন্য পঞ্চায়েত প্রধানকে বারবার বলা সত্ত্বেও তাঁর কোনও প্রকার সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যা।

যদিও ভাতার গ্রাম পঞ্চায়তের প্রধান পরেশনাথ চক্রবর্তী বলেন, ” ওই পঞ্চায়েত সদস্যা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে শুনেছি। তবে আমি আগেই বেলডাঙ্গা গ্রামের রাস্তার কাজ করাতে বলেছিলাম। কিন্তু তখন গ্রামের লোকজন মাঠে কাঁদরের ওপর সেতু তৈরি করে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। তারই ভিত্তিতে ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করাও হয়েছিল । তারপরেও রা্স্তার জন্য স্কিম জমা দিতে বলা হয়েছে। এনিয়ে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি । অসহযোগিতার অভিযোগ সঠিক নয় ।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলডাঙ্গা গ্রামের বারোয়ারিতলা থেকে ডোমপাড়া হয়ে সামন্তী রোডে যাওয়ার যে রাস্তাটি রয়েছে সেটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। চলতি বর্ষায় রাস্তার মাঝে মাঝেই হাঁটু সমান কাদাজল। ফলে অনেক দিন ধরেই যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি পায়ে হেঁটে চলাচল করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। ওই রাস্তাটি ঢালাই করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু রাস্তাটি ঢালাই হয়নি। গ্রামবাদীদের অভিযোগ, ওই রাস্তাটি ছাড়াও বেলডাঙ্গা গ্রামের অনান্য রাস্তাগুলির অবস্থাও বিশেষ ভালো নয় । অথচ সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

স্থানীয় পঞ্চায়তের সদস্যা তনু মাঝির ভাসুর বিকাশ মাঝি বলেন, “গ্রামের বেহাল রাস্তার কারনে পঞ্চায়েতের সদস্যাকেই জবাবদিহি করতে হচ্ছে। অথচ বারবার বলেও আমরা প্রধানের কাছে থেকে কোনও প্রকার সহযোগিতা পাচ্ছি না। তাই বৌমার সঙ্গে আলোচনা করে সদস্যার পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আমরা দলে যেমন রয়েছি তেমনই থাকবো ।”

তনুদেবী শুক্রবার বিকেলে বিডিওর কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে আসেন । তবে এদিন পর্যন্ত তা গৃহীত হয়নি বলে প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে। ভাতারের বিডিও শুভ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ” ওই পঞ্চায়ত সদস্যার একটি আবেদনপত্র পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

Related Articles

Back to top button
Close