
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতির কারণে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন হবে না বলে জানিয়ে দিলেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। সোমবার লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে একটি চিঠি লিখে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী । তাঁর দাবি, সব বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে কথা বলার পরই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরীর একটি চিঠির জবাবে যোশী জানিয়েছেন, কোভিড সতর্কতার জন্যই এবার শীতকালীন অধিবেশন হবে না। জানুয়ারিতে একেবারে বাজেট অধিবেশন বসবে। অধীরবাবু চিঠি দিয়ে দাবি করেছিলেন, কৃষি আইন নিয়ে সংসদে আলোচনা হোক। রাজধানী দিল্লির উপকণ্ঠে কৃষকদের আন্দোলন ও দাবি দাওয়ার প্রেক্ষিতে এই চিঠি দেন বহরমপুরের সাংসদ। সেপ্টেম্বরে বাদল অধিবেশন বসেছিল সংসদে। ১০ দিন চলেছিল অধিবেশন। মোট ২৭টি বিল পাশ হয়েছিল ওই সময়ে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলির সহমতের ভিত্তিতেই শীতকালীন অধিবেশন এবার বন্ধ রাখা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, সংক্রমণের ব্যাপারে সতর্ক কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁরা চান না কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাক। তা ছাড়া শীতকালে কোভিড বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।
অধীরের চিঠির জবাবে সোমবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন,”দিল্লির মতো এলাকায় নতুন করে করোনা বাড়ছে। আর শীতের এই কটা মাস মহামারী মোকাবিলার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।” প্রহ্লাদ যোশী বলছেন,”আমরা এখন ডিসেম্বরে। আর করোনার ভ্যাকসিন খুব তাড়াতাড়ি আসতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছিলাম। এবং সকলেই শীতকালীন অধিবেশন বাতিলের পক্ষে। সরকার দ্রুত সংসদের অধিবেশন বসানোর চেষ্টা করবে। আগামী জানুয়ারিতেই যাতে বাজেট অধিবেশন বসানো যায় সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে।” শীতকালীন অধিবেশন বাতিল হওয়ার অর্থ হল, কৃষি আইন এবং কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে আলোচনার যে দাবি বিরোধীরা করছিল, তা এখনই মানা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: নাড্ডার কনভয়ে হামলা! লজ্জিত স্ত্রী মল্লিকা
সংবিধান অনুযায়ী ছ’মাসের বেশি আইনসভা বন্ধ রাখা যায় না। যে কারণে সংসদে বাদল অধিবেশনের পাশাপাশি অনেক রাজ্যে এক দিনের বিধানসভা অধিবেশন বসেছিল। বাংলাতেও তাই হয়েছিল। কারণ সে সময় সেই অধিবেশন না করলে সাংবিধানিক সংকট হত। কিন্তু সেপ্টেম্বরে একবার অধিবেশন হয়েছে। তাই শীতকালীন অধিবেশন না করলেও সাংবিধানিক সংকট হবে না।