ট্রেনভাড়া নয়, শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দিন, পরিযায়ী ইস্যুতে দিদিকে কটাক্ষ রাহুলের
রক্তিম দাশ, কলকাতা, ১৭ মে: শনিবারই টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে বলেছিলেন, ‘ভিন রাজ্যের আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফিরিয়ে আনতে রেলভাঙা রাজ্য সরকার দেবে।’ তাঁর এই টুইটকে কটাক্ষ করে রবিবার বিজেপির কেন্দ্রীয়নেতা রাহুল সিনাহা বললেন,‘ পরিয়ায়ি শ্রমিকদের ট্রেন ভাড়া না দিয়ে ওই ঠাকা ওঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এ সরাসরি পাঠিয়ে দিন মুখ্যমন্ত্রী।’
এদিন রাহুল সিনাহা বলেন, ‘রেল ভাড়া নিয়ে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ভাড়া দিয়ে দেবেন। আমরা প্রশ্ন, রাজ্যের কি টাকা বেশি হয়েছে? এতদিন তো দিদি চিৎকার করছিলেন রাজ্যের ভাড়ারে টাকা নেই টাকা নেই বলে। তা এখন উনি এতো টাকা পেলেন কোথায় যে পরিযায়ী শ্রমিকদের সব রেলের ভাড়া একাই মিটিয়ে দেবেন।’
রাহুলবাবু দাবি জানিয়ে বলেন, ‘রেলের ভাড়া ৮৫ শতাংশ কেন্দ্র আর ১৫ শতাংশ রাজ্যকে দিতে হবে। আমি বলছি, পরিযায়ী রেলভাড়ার টাকা দিদির দেওয়ার দরকার নেই উনি ওই টাকাটা শ্রমিকদের দিন। শ্রমিকদের হাতে দিতে বলতে পারছিনা। কারণ দলটার নাম তৃণমূল। টাকা হাতে দিলে তার থেকেও কাটমানি খাবে। টাকাটা শ্রমিকদের ব্যাংকের একাউন্টে পাঠান না। আমরা একটু দেখি।’ রেলের ভাড়া থেকেও এখন গুরুত্বপূর্ণ ভিনরাজ্য থেকে কত দ্রুত বাংলার শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনা যায় বলে এদিন মন্তব্য করেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক।
রাহুলবাবু বলেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের ভাড়া কে দেবে তা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। কবে তাঁরা ফিরবে তা নিয়ে ওঁনার মাথা ব্যাথা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, শ্রমিকদের ফেরানোর জন্য ১০৫টি ট্রেনের ব্যবস্থা করেছেন। এমনিতেই লকডাউনের ৫০ দিন অতিক্রান্ত। এতো শ্রমিক বাড়ি ফেরার জন্য আর কতদিন অপেক্ষা করবেন? উনি ৭ দিনে ১০০ ট্রেন চান। তার পর ৭ দিন পর আরও একশো ট্রেন চান। এখাবে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করে দ্রুত শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনুন। কেন্দ্র সরকার নিশ্চয় তার ব্যবস্থা করবে। আমরা দরকার হলে বিষয়টি নিয়ে রেলমন্ত্রীকে বলব। শ্রমিকদের আর যেন পায়ে হেঁটে বাংলায় ফিরতে না হয়।’
এদিন দেশের মধ্যে করোনায় মৃত্যু হার শতাংশে সবচেয়ে বেশি উল্ল্যেখ করে রাহুলবাবু বলেন, ‘সংক্রমণ গোপন করে, মৃতদেহ লুকিয়েও যে মৃত্যুর হার সামনে এসেছে তাতেও বাংলা একনম্বর। এত মৃতদেহ লোপাটের ঘটনা যদি না হতো তাহলে কত হতো? পুরো স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কি অবস্থা নার্সরা চলে যাচ্ছে? কারণ স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নেই। তাঁদের জোর করে দমন-পিড়ন করে কাজ চলছে। রাজ্য সরকার এখনও রাজনীতি বন্ধ না করলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবে। বেসরকারি পরিষেবা অচল হলে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবাও অচল হবে। কারণ বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্টাগুলো আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত।’