এবার বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারবে করোনা রোগীরাও! থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ পুরভোট নিয়ে তৎপর সব রাজনৈতিক দলগুলি। সব দলই তাদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। দু’দিন আগেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল ও বামেরা। সোমবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল, বিজেপি। এদিকে কড়া নির্বাচন কমিশনও। সাংবাদিক বৈঠক থেকেই কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় প্রার্থীর সঙ্গে দুজন, আর ডোর টু ডোর ক্যাম্পেনের সময় পাঁচজন যেতে পারবেন।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর পুরভোট। এদিকে এখনও করোনার থেকে এখনও নিস্তার পায়নি সাধারণ মানুষ।
তবে এবার বুথে গিয়ে যাতে করোনা রোগীরাও ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করল নির্বাচন কমিশন। তবে থাকবে আলাদা ব্যবস্থা।
সোমবারই ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে এক বৈঠক হয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে কলকাতা পুরভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকরা সেই বৈঠকে বসেন। তার আগে এদিন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও তাঁরা বৈঠক করেন।
প্রাথমিক ভাবে সেখানে ঠিক হয়েছে, ভোটের ১৭ দিন আগে করোনা রোগীদের তালিকা তৈরি করা হবে। যাঁরা করোনা আক্রান্ত রয়েছেন, তাঁদের পৃথক সময় করে ভোটের দিন নিয়ে যাওয়া হবে বুথে। তার জন্য নির্বাচনের দিন ১৯ ডিসেম্বর প্রত্যেক বরোতে তিনটি করে অ্যাম্বুলেন্স। ২ ডিসেম্বর থেকে কোথায় কোথায় করোনা রোগী রয়েছেন, সে তালিকা তৈরির কাজও শুরু হয়ে যাবে।
যে সমস্ত পুরপ্রতিনিধিরা ভোটের দায়িত্বে থাকবেন তাঁদের জন্য সেক্টর অফিসে ভোটের ৩-৪ দিন আগে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে। এই প্রথমবার কমিশন নিজেদের উদ্যোগে এই টিকাপ্রদানের ব্যবস্থা করবে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলেই পুরো বিষয়টি হবে।
১৬টি বরোর জন্য ১৬ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক থাকবেন। এই ১৬ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক ডব্লুবিসিএস অফিসার পদের। সঙ্গে থাকবেন চারজন বিশেষ পর্যবেক্ষক বা স্পেশাল অবজারভার। এই চারজনের অধীনে চারটি করে বরো থাকবে। বিশেষ পর্যবেক্ষক বা স্পেশাল অবজারভার এই চারজনের অধীনে চারটি করে বরো থাকবে।
১৬ জন সাধারণ পর্যবেক্ষকের মাথায় থাকবেন এই চারজন। এই চারজনই আইএএস অফিসার। ১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজে যোগ দেবেন তাঁরা। পর্যবেক্ষক করা হয়েছে যুগ্ম সচিব বা তাঁর থেকে উঁচু পদমর্যাদার অফিসারদের। এদিনের বৈঠকে ১৭ জন যোগ দেন।
যেহেতু করোনার আবহেই ভোটগ্রহণ, সেহেতু সতর্ক কমিশনও। বিশেষ করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার তুলনায় কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই বেশি। সেখানে সুষ্ঠুভাবে বিধিনিষেধ মেনে ভোট করানোওটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ।