দুঃস্থ শিশুদের প্রতিভা বিকাশে কাজ করে চলেছে নৃত্যাঙ্গণ ডান্স অ্যাকাদেমি

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: জীবনে অনেক ওঠা-পড়া আসবে, তার মধ্যে দিয়েই এগিয়ে চলতে হবে। আমার মা নিজে একজন ক্যান্সার পেশেন্ট আমি নিজেও শারীরিকভাবে অসুস্থ তবুও ভালোবাসার জিনিসকে আঁকড়ে ধরে জীবনে বাঁচতে চাই।
দুঃস্থ সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে কাজ করার মানসিকতা নিয়ে কাজ করা শুরু করি পাঁচ বছর আগে। জন্ম নেয় নৃত্যাঙ্গণ ডান্স অ্যাকাদেমির। তারপর থেকে শুরু পথচলা। সেইচলাও শুরু হয়েছিল একটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
আমার এই চলার পথে আমার পাশে সবসময় ছিল আমার মা, আমার ছাত্রীরা এবং তাদের অভিভাবক অভিভাবিকারা। অনেক স্বপ্ন, ভালোবাসা দিয়ে এই অ্যাকাদেমি তিলে তিলে গড়ে তুলেছি। অনেক উত্থান পতন অনেক ভালো খারাপের সাক্ষী এই অ্যাকাদেমি। একসময় অটোমোবাইল কোম্পানির কাজ ছেড়ে দিয়ে নাচকেই আমি আমার একমাত্র পেশা করে নিই। পেশার থেকেও নাচ আমার নেশা বলাটাই অনেক বেশি ভালো।অ্যাকাদেমির ছাত্রীদের নিয়ে আমি বিভিন্ন সরকারি বেসরকা্রি চ্যানেলের অনুষ্ঠান যেমন করেছি তেমনি পর পর দুই বার ইন্টারন্যাশনাল ডান্স ফেস্টিবেল-এ নাচের সুযোগও পেয়েছিলাম।
কাউন্সিলর শ্রী অসীম বসু মহাশয় আমায় একটি স্কুলে নাচের শিক্ষিকতা করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন তারপর থেকে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্কুলে আমি নাচের শিক্ষকতার সুযোগ পাই। আমি দুঃস্থ বাচ্চাদেরও নাচ শেখাই এবং আমার অ্যাকাদেমির অনুষ্ঠানে দুঃস্থ বাচ্চারাও নৃত্য পরিবেশন করে থাকে। যাতে ওদের প্রতিভার আরও বিকাশ হয়, সেটাই আমার লক্ষ্য।
আমি ও আমার ছাত্রীরা প্রতি বছর দুঃস্থ বাচ্চাদের শীতের পুরোনো সোয়েটার জামাকাপড় কিছু খাওয়াদাওয়া দিতেও সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।আমরা নিজেদের সাধ্য মতো চেষ্টা করি ওদের মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য।
এবছর করোনা পরিস্থিতি তে আমাদের অ্যাকাদেমির পাঁচ বছরের অনুষ্ঠান হয়তো দূর্গাপুজোর আগে করা সম্ভব হবে না। কিন্তু এই অনুষ্ঠান পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নিশ্চই করার চেষ্টা করব। এখন আমরা ইউটিউবের মাধ্যমে সকলের কাছে বিনোদন পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।