অযোধ্যায় ভূমিপুজো উপলক্ষে মেখলিগঞ্জে রামচন্দ্রের পুজোয় ব্রতী হল হিন্দু জাগরণ মঞ্চ
বিজয় চন্দ্র বর্মন, মেখলিগঞ্জঃ দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান। স্বপ্নপূরন হলো এতকাল ধরে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন যারা। বেঁচে থাকাকালিন যারা নিজের চোখে অযোধ্যা নগরীতে ভগবান রামচন্দ্রের মন্দিরের পুনঃপ্রতিষ্ঠা দেখে শান্তিতে পরপাড়ে যেতে চেয়েছিলেন তাদের সে স্বপ্ন পুরন হলো। বুধবার দিন অযোধ্যা নগরীতে রামমন্দির নির্মানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর ভুমিপুজার মধ্য দিয়ে যে ঐতিহাসিক জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছিল তার ঢেউ আচড়ে পড়লো ভারতের কোনায় কোনায়।
বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি লকডাউন ও করোনার ভয়াবহতাকে তুচ্ছ করে এদিন দিকে দিকে পুরুষোত্তম রামচন্দ্রের শ্রীচরনে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করলেন ভারতবাসী। জয়ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে এদিন ভারতের আকাশে বাতাসে নবদিগন্তের যে বিজয় নিশান উড়েছিল তা যেন ভারতের ইতিহাসে এক নব যুগের আবহ তৈরীর পূর্বাভাস। মেখলিগঞ্জ ব্লকে এদিন ভারতীয় জনতা পার্টি, হিন্দু জাগরন মঞ্চের তরফে রামপুজার যে আয়োজনে এক ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এদিনের শুভ সন্ধ্যায় অকাল দীপাবলি উৎসবে মেতে ওঠলেন ভারতের বাসিন্দাদের একাংশ। ঢাকের বাদ্যে, শঙ্খনিনাদে আর জয় শ্রী রাম ধ্বনিতে ভারতের মাটিতে যে ভূকম্পনের সৃষ্টি হয়েছিল তাতে রামমন্দিরের ভিত যেন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠলো।
এদিন মেখলিগঞ্জের বিভিন্ন প্রান্তে রাম আরাধনায় নেতৃত্ব দিয়েছিল বিজেপির মেখলিগঞ্জ উত্তর মন্ডলের সভাপতি বিশ্বনাথ শীল, বিজেপির মেখলিগঞ্জ দক্ষিণ মন্ডলের সভাপতি দধিরাম রায় ও হিন্দু জাগরন মঞ্চের পশ্চিম বিভাগের সভাপতি ভক্ত রায়। কোথাও বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা, কোথাও জাঁকজমকপূর্ণভাবে রামের আরাধনা চলে। মেখলিগঞ্জের জামালদহে হিন্দু জাগরন মঞ্চের আয়োজিত রাম চন্দ্রের পুজোয় উপস্থিত ছিলেন মেখলিগঞ্জ উত্তর ও দক্ষিন মন্ডলের সভাপতি যথাক্রমে বিশ্বনাথ শীল ও দধিরাম রায়। এছারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু জাগরন মঞ্চের কোচবিহার পশ্চিম বিভাগের সভাপতি ভক্ত রায়। এদিন উছলপুকুরিতেও রামচন্দ্রের আরাধনায় ব্রতি হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি।