সাপে কাটা রোগীকে নিয়ে ওঝার দ্বারস্থ পরিবার, মৃত্যু মহিলার

অভিষেক চৌধুরী, কালনা: হাসপাতালের উদ্দেশ্যে আসার পথে সাপে কাটা এক রোগীকে নিয়ে আবারো ওঝার দ্বারস্থ হলেন এক পরিবার। যদিও শেষ পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমানের ধর্মডাঙ্গা গ্রামে থাকা ওই ওঝার দেখা মেলেনি। কারণ গভীর রাতে ডাক দিয়েও সাড়া মেলেনি তার।সংজ্ঞাহীন অবস্থায় কালনা হাসপাতালে অকালপৌষ এলাকার ওই রোগীকে আনলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচার করা সত্বেও বারংবার সাপে কাটা রোগীকে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়ার যে প্রবণতা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা যায়, মৃতার নাম অর্চনা হাঁসদা (২৭)। তার বাড়ি কালনা থানার অকালপৌষের বাইতিপাড়ায়। বুধবার রাতে অর্চনা হাঁসদা স্বামীর সঙ্গে ঘরের মেঝেতে ঘুমাচ্ছিলেন।গভীর রাতে তার বাঁ হাতে সাপে কামড় দেয়। এরপর দুজনেই জেগে উঠতেই দেখেন ঘরে বড় একটি সাপ। এরপরই তাকে কালনা হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসার পথে ধর্মডাঙা গ্রামে একটি ওঝার বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও ওই ওঝার দেখা মেলেনি। কারণ গভীর রাতে তাকে ডাক দিয়েও সাড়া মেলেনি। কালনা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত বলে জানায়। বৃহস্পতিবার কালনা হাসপাতালে মৃতদেহ ময়না তদন্ত করা হয়।
এই বিষয়ে বিজ্ঞানমঞ্চের অন্যতম এক কর্তা ও শিক্ষক তাপস কুমার কার্ফা বলেন, ‘বর্ষাকালেই সাপে কামড়ানোর ঘটনা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি পরিমানে হয়। এই ঘটনা ঘটলে কোনোরকমভাবে সময় নষ্ট না করে দ্রুততার সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে রোগীর যদি চিকিৎসা করানো যায় তাহলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী সুস্থ হয়ে যায়। এই বিষয়ে বারংবার সচেতনতামূলক প্রচারও করা হলেও সাধারণ মানুষকে নিজে থেকেই আরো একটু সচেতন হতে হবে।’