
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অনলাইন নয় মুখোমুখি ক্লাসকে প্রাধান্য দেবার দাবি জানিয়ে পথে নামল বাম ছাত্ররা।
করোনা ও লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আনলক ওয়ান চললেও এখনই খুলছে না স্কুল, কলেজ। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যেই রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কাছে শিক্ষাসংক্রান্ত একাধিক দাবি তুলে ধরে বুধবার রাজ্যজুড়ে পথে নামে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। কলকাতাতেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কলেজস্ট্রিট ও ঢাকুরিয়াতেও পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তারা।অনলাইনে নয় মুখোমুখি ক্লাসে চাই এই দাবিতে অনেকে পথের মধ্যেই বই খুলে বসে যায়।
আন্দোলন প্রসঙ্গে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘লকডাউনের ফলে ২৫ কোটি ছাত্র গৃহবন্দি, এ সকল ছাত্রের ৭৫-৮০%’ই আসে আর্থনীতিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশ থেকে। এই অংশের দিকে তাকিয়ে শিক্ষাব্যবস্থায় অবিলম্বে পরিবর্তন প্রয়োজন।’ এই লকডাউন পর্বে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। কিন্তু তা সমস্ত স্তরের ছাত্রদের কাছে পৌঁছানো এখনই সম্ভব নয়। এবিষয়ে সৃজন বলেন, ‘সকল ছাত্রের জন্য অনলাইনে লেখাপড়ার সমান সুযোগ ও পরিকাঠামো প্রস্তুত না করে অনলাইন শিক্ষা, পরীক্ষা ও মুল্যায়নকে বাধ্যতামূলক করা যাবেনা। আমরা চাই অনলাইনে নয় মুখোমুখি ক্লাস শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হোক।’
আরও পড়ুন: নিরাশ্রয় মানুষের সেবায় কাজ করে চলেছে ‘অনুভব’
তাঁর দাবি, এমন অতিমারীর পর ড্রপ আউটের হার ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। তাই সরকারের এই মুহূর্তে প্রধান কাজ শিক্ষাখাতে ব্যাপক ব্যয়বরাদ্দ বৃদ্ধি করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত ছাত্রসমাজকে শিক্ষাক্ষেত্রের পরিসরে যুক্ত রাখা। এজন্য পদ্ধতিগত ও আর্থিক বিকল্প প্রয়োজন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে শিক্ষাখাতে বিশেষ স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে। প্রয়োজনে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মাসে দু’বার মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করতে হবে। এর পাশাপাশি স্কুল, কলেছের ফি বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের কড়া পদক্ষেপের দাবি জানান তিনি।