বর্ধমানের স্বর্ণঋণ সংস্থায় ডাকাতিতে গ্ৰেফতার এক, আসল দুষ্কৃতী পর্যন্ত পৌঁছতে ব্যর্থ পুলিশ

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান: বর্ধমান শহরের স্বর্ণঋণ সংস্থায় ডাকাতির ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বিপ্লব রায় নামে এক জনকে গ্ৰেফতার করেছিল। ডাকাত দলের লিংকম্যান সন্দেহে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আকাঙ্খা মোড় থেকে পুলিশ তাকে গ্ৰেফতার করে বর্ধমান আদালতে পেশ করে। তাকে ৭ দিনের পুলিশী হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে ও তল্লাশী চালিয়েও পুলিশ সোনা উদ্ধার করতে পারলো না।
পুলিশের যদিও দাবি নানা তথ্য তুলে ধরে ধৃত শুধু পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে গেছে। হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুলিশ মঙ্গলবার বিপ্লবকে ফের আদালতে পেশ করে। পুলিশ যদিও এদিন তাকে আর হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় নি।
ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে পুলিশ ডাকাত দলটিকে গ্ৰেফতারের সবরকম প্রেচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বর্ধমান শহরের বিসি রোডে রয়েছে স্বর্ণঋণ সংস্থার অফিস। গত ১৭ জুলাই বেলা পৌনে ১টা নাগাদ ওই ঋণদান সংস্থার অফিসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ৬-৭ জনের ডাকাতদল আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নিরাপত্তারক্ষী ও সংস্থার কর্মীদের ভয় দেখিয়ে ৩০ কেজি ২০৫ গ্রাম ২০ মিলিগ্রাম সোনা নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। ডাকাতি করে পালানোর সময়ে বাধা পেয়ে হীরামন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে তারা গুলি করে। গুলিতে তিনি জখম হন।
ওই ডাকাতির ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সংস্থার অফিস থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করে। ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় একটি খালি ম্যাগাজিন। এছাড়াও বিসি রোড থেকে পুলিশ ২টি তাজা কার্তুজ ও একটি ফাঁকা কার্তুজ পায়। ডাকাত দলটির নাগাল পেতে পুলিশের পাশাপাশি সিআইডিও ঘটনার তদন্তে নামে। পুলিশের আশা ছিল বিপ্লব রায়কে হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাদ চালিয়ে ডাকাত দলের নাগাল পাওয়া যাবে । কিন্তু তা হলনা । তবুও হাল ছাড়েনি পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। গা ঢাকা দিয়ে থাকা ডাকাত দলটিকে গ্ৰেফতারের জন্য পুলিশ পুরোদস্তুর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।