fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

এক দেশ এক রেশন কার্ড, বিলম্বিত বোধোদয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর: জগন্নাথ

শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, রানাঘাট : তিনি দেখলেন, বুঝলেন এবং শেষপর্যন্ত মেনেও নিতে বাধ্য হলেন কিন্তু ঘেটে-ঘুটে-জল ঘুলিয়ে! বিলম্বিত বোধোদয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। অত্যন্ত আক্ষেপের সঙ্গে এই অভিমত ব্যক্ত করলেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এক দেশ এক রেশন কার্ড, এ দাবি আমাদের দীর্ঘ দিনের। শেষ পর্যন্ত আমাদের এই দাবিকেই শীলমোহর দিল কেন্দ্র। সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। কথা হচ্ছিল, দলীয় কার্যালয় রানাঘাটে বসেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরম অনিহা ও টালবাহানার দরুণ ইতিমধ্যেই দেশের অন্যান্য অধিকাংশ রাজ্যে এই নিয়ম চালু হলেও পশ্চিমবঙ্গবাসী এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। পরিস্থিতি আজ এমন পর্যায়ে পৌঁছিয়েছে যে, এক দেশ এক রেশন কার্ড। এরাজ্যেও বলবৎ করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলেন কেন্দ্রীয় সরকার। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ায় মধ্যদিয়ে উপকৃত হবেন এ রাজ্যের প্রায় সাড়ে নয় কোটি নাগরিক।

আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারে বিজেপির ত্রাণ বিলি 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,আগেই এই নিয়ম মেনে নিলে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকেরা অন্তত খাদ্যাভাবে কষ্ট পেতেন না! যে বা যারা যে রাজ্যে আটকে ছিল, সেখান থেকেই রেশনের খাদ্য সামগ্রী তোলার সুযোগ পেত। রাজ্য সরকারের একের পর এক একগুঁয়েমি মনোভাব ও হঠকারী সিদ্ধান্তে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন রাজ্যবাসী। অতি সম্প্রতি পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে ‘স্নেহের পরশ’ প্রকল্প তারই এক জ্বলন্ত উদাহরণ। আয়ূস্মান ভারত কিংবা কেন্দ্রীয় কৃষি প্রকল্পের সুবিধা না নেওয়ায় জন্য আজ ওই সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা ভোগের ক্ষেত্রে দেশের অন্যান্য রাজ্যের নাগরিক বৃন্দ উপভোগ করলেও পশ্চিমবঙ্গবাসী সম্পূর্ণ ভাবে বঞ্চিত। শুধু মাত্র ইগো এবং খামখেয়ালীপনা মনোভাবের জন্য রাজ্যের মানুষ বার বার বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে এক্ষেত্রেও বিলম্বিত বোধোদয় হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর।

Related Articles

Back to top button
Close