কলকাতাগুরুত্বপূর্ণপশ্চিমবঙ্গহেডলাইন
ফেসবুক সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক প্রচার চালানোয় বীরভূমে গ্রেফতার সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গি

নিজস্ব প্রতিনিধি, রামপুরহাট ও কলকাতা: ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর
অভিযোগে বীরভূমের পাইকড় থানার কাশিমনগর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হল এক ব্যক্তি কে। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। এসটিএফ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম
অভিযোগে বীরভূমের পাইকড় থানার কাশিমনগর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হল এক ব্যক্তি কে। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। এসটিএফ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম
নজিবুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা থেকে স্পেশাল টাক্স ফোর্সের পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। ওই ব্যক্তি সাকিব আলি নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সাম্প্রদায়িক ও উগ্র অমুসলিম বিরোধীবিদ্বেষ ছড়াচ্ছিলেন এবং স্থানীয় মানুষজনকে ইসলামের পথ অনুসরণ করতে উদ্বুদ্ধকরছিলেন, এমন অভিযোগ আগেই পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। তাই স্থানীয় থানা থেকে তার ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। কিন্তু তার কার্যকলাপ দেখে বৃহস্পতিবার রাত্রে তাকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। আরও জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির একটি ছাপাখানা রয়েছে। সেই ছাপাখানা থেকে বেশকয়েকটি মৌলবাদী সাহিত্য, বই উদ্ধার করা হয়েছে। ছাপাখানার কম্পিউটারের
ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এগুলির সঙ্গে জেএমবির সংযোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। এ দিন অভিযুক্তকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এগুলির সঙ্গে জেএমবির সংযোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। এ দিন অভিযুক্তকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
ধৃত ব্যক্তির চার ছেলে। গ্রামের মসজিদে মৌলবির পাশাপাশি তিনি ছাপাখানা চালাতেন। স্বামী জঙ্গি
সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত একথা মানতে চাননি স্ত্রী হাসিনা মমতাজ ও প্রতিবেশীরা। স্ত্রী হাসিনা মমতাজ বলেন, “স্বামী মৌলবির পাশাপাশি ছাপাখানা চালায় বলে আমাদের সংসার চলে। কোন অন্যায় কাজ স্বামী করেনি। অহেতুক স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল।”
সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত একথা মানতে চাননি স্ত্রী হাসিনা মমতাজ ও প্রতিবেশীরা। স্ত্রী হাসিনা মমতাজ বলেন, “স্বামী মৌলবির পাশাপাশি ছাপাখানা চালায় বলে আমাদের সংসার চলে। কোন অন্যায় কাজ স্বামী করেনি। অহেতুক স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল।”