fbpx
আন্তর্জাতিকগুরুত্বপূর্ণদেশবাংলাদেশহেডলাইন

দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করাই এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য: শেখ হাসিনা

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: তিন বছর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর  আমন্ত্রণে ভারতে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চারদিনের সফরে সোমবারই ছিল তাঁর প্রথম দিন। সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। দুপুর ১২টার দিল্লির পালামৌ বিমানবন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিমান।

চার দিনের রাষ্ট্রীয় এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গী হয়েছেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ১০ জন মন্ত্রীসহ বেশ কিছু ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যে আছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,  রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এছাড়া এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক ও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ সফরে ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিন্ন নদ-নদীর পানি বণ্টন ও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহযোগিতার বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পাবে আলোচনা। এ সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়ে দিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব জোরদার করাই এই সফরের মূল লক্ষ্য। তিনি দুই দেশের অভিন্ন নদীগুলো খননের (ড্রেজিং) প্রস্তাব ভারতকে দিয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে তাঁর সম্মানে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভারতীয় কয়েকজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে দৃঢ়তার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এবার দিল্লিতে দেখা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মমতার সঙ্গে দেখা করার আমার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ও তো আসেনি। মমতা আমার বোনের মতো। ওকে স্নেহ করি। ওর সঙ্গে রাজনীতির বাইরে আমার সম্পর্ক। যখন চাইবে, তখনই আমার সঙ্গে দেখা করতে পারে। ’

গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সম্পর্ক আমার গান্ধী পরিবারের সঙ্গে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। ’

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু অবশ্যই উত্থাপন করব, যাতে ভারতের মতো একটা বড় দেশ এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে। যাতে মিয়ানমারকে চাপ দেয়। আমার মনে হয়, ভারত এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই কিছু প্রতিশ্রুতি দেবে। ’

তিস্তা চুক্তি না হওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জল দিচ্ছেন না বলেই ইলিশ পাচ্ছেন না। দুর্গাপুজোর সময় তো দিতেই হবে। নিয়মিত পেতে গেলে তো আমাকে জল দিতে হবে। ’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বন্যার সময় যে জলটা চলে আসে সেটা সংরক্ষণ কিভাবে করা যায়, তার একটা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। ভারত যদি এতে সাহায্য করে তাহলে খুবই ভালো হয়। ’

 

Related Articles

Back to top button
Close