fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

একটাই শাড়ি, ভিজে গেলেও পরতে হয়! লকডাউনে তীব্র আর্থিক অনটনে খেজুরির মৎস্যজীবী

ভীষ্মদেব দাশ, খেজুরি: দুটো শাড়ির একটা ছেঁড়া, একটা শাড়ি একটু ভালো আছে। বর্ষাকালে ভালো শাড়িটা ভিজে গেলেই সমস্যা। কখনও ভিজে কাপড়টাই পরে দিন কাটাতে হচ্ছে। অভাবের সংসার, মাছ ধরতে যাওয়া তো এখন নিষেধ। যেটুকু ইনকাম হয় তা দিয়ে কোনওরকম সংসারটা চলছে। শাড়ি কিনবার পয়সা কোথায়? খেজুরির এক মৎস্যজীবী মহিলা দুঃখের সাথে জানালেন বাস্তব জীবনের কথা।

বিপর্যয়টা শুরু হয়েছিল মার্চ মাসের শেষ থেকে। করোনা সংক্রমণ তখন শুরু হয়েছে। আর লকডাউনও। তখনও সব ঠিকঠাক ছিল। নতুন করে এল আমফান ঘুর্ণিঝড়। ধ্বংস করে দিয়েছিল সবকিছু। তখন থেকে সাময়িক বন্ধ হয়েছিল সমুদ্রে যাওয়া, বন্ধ হয়েছিল মৎস্য আহরণ। তারপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি বারে বারে নিম্নচাপের ফলে সমুদ্রে যাওয়া যায়নি। অসময়ের দিনে পাশে দাঁড়িয়েছেন বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। খাদ্যসামগ্রী থেকে বস্ত্র, শিশুদের জন্য পাণীয় দুধ দিয়েছেন তাঁরা। খেজুরি-২ ব্লকের নিজকসবা মৎস্য খটি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন খেজুরির বিধায়ক। খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।

সোমবার সকালে খেজুরি-২ ব্লকের নিজকশবা মৎস্যখটিতে বস্ত্রদান কর্মসূচী করলেন বিধায়ক। খটি এলাকার ২০০জন মহিলা মৎস্যজীবীকে বস্ত্রদান করেন তিনি। বিধায়ক রনজিত মন্ডল বলেন, আমি কেবলমাত্র জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাহায্য করিনি। আমি আমার এলাকার মানুষের পাশে থাকার সবসময় চেষ্টা করি।

এদিনের কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন খেজুরি-২ ব্লকের কনভেনর দেবাশীষ দাস, মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ দেবব্রত মন্ডল, মৎসজীবি সংগঠনের নেতৃত্ব রাজকুমার পন্ডা, কাঁথি মহকুমা মৎসজীবি সংগঠন সহসভাপতি রবীন্দ্রনাথ বর , কামারদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বনাথ মালিক প্রমুখ।

Related Articles

Back to top button
Close