অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে অনলাইনেই সারতে হবে ভর্তি প্রক্রিয়া। সাফ জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন। উল্লেখ্য শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা সত্ত্বেও বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অনলাইনে ভর্তির বদলে সুভিনিয়ার বা অন্যান্য কারণে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আসে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। আর তা নিয়ে এদিন কড়া বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘অনলাইনে ফরম ফিলাপ করে ব্যাংকে টাকা জমা করা ছাড়া ভর্তি প্রক্রিয়া এগোনো যাবে না। সরকার যে সুনির্দিষ্ট অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ার গাইড লাইন ঠিক করে দিয়েছে। সেই গাইডলাইন মেনে কলেজগুলোতে ভর্তি নিতে হবে। কোন কারুর কাছ থেকে নগদ টাকা নেওয়া যাবে না।’
অন্যদিকে, এবার থেকে বাড়িতে বসেই
পছন্দমত স্কুল বাছাইয়ের সুযোগ পাবেন শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীরা। কাউন্সেলিংয়ের জন্য তাঁদের স্কুল সার্ভিস কমিশনের সদর দফতরে পর্যন্ত আসতে হবে না। উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সময় নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ তুলে দিলেও কমিশনের সদর দফতরে চাকরিপ্রার্থীদের সশরীরে কাউন্সেলিং করানো কার্যত অসম্ভব। এমনটাই মনে করছেন এসএসসির আধিকারিকরা। তাই দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সেলিংয়ের যে নিয়ম ছিল সেই নিয়মকে বদল করে পুরো কাউন্সেলিং প্রক্রিয়াকেই অনলাইন করতে চায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। তারা ভাবছে, বাড়িতে বসেই চাকরিপ্রার্থীদের পছন্দসই স্কুল বাছাইয়ের সুযোগ করে দিতে।
প্রসঙ্গত, গত বছর পুজোর আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশন উচ্চ প্রাথমিকে মেধাতালিকা প্রকাশ করলেও সেই মেধা তালিকায় গরমিল ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ তোলেন প্রার্থীদের একাংশ। সেই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পর হাইকোর্ট উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দেয়।
উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও পর্যন্ত আদালতের বিচারাধীন। তবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন রাখা হয়েছে, যাতে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ মামলা নিয়ে একটি স্পেশাল কোর্ট বসানো হয়। স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে এমন খবর পাওয়া গিয়েছে।