কৃষি বিল নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে বিরোধীরা: সায়ন্তন বসু

কৃষি বিল নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে বিরোধীরা: সায়ন্তন বসু
শুভেন্দু বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল: কৃষি বিল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি সারা দেশ জুড়ে মিথ্যা প্রচার করছে বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। কেন্দ্রের নতুন কৃষি বিল দালাল, ফঁড়ে বা মধ্যস্বত্ব ভোগীদের বিরুদ্ধে। তাই এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের নেতাদের কষ্ট হচ্ছে। কারণ তারা কাটমানি পাবেনা। এইভাবেই বুধবার রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু। এদিন বিকালে তিনি আসানসোলের রেলপারে উত্তর ধাদকায় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন তিনি। পাশাপাশি আগামী ৮ অক্টোবর দলের যুব মোর্চার ডাকা নবান্ন অভিযান ও কৃষি বিলের পক্ষে আসানসোলের ৯টি বিধানসভায় কিভাবে প্রচার করতে হবে, তা নিয়ে এদিন তিনি দলের জেলা নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন।
পরে সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, সীমান্ত এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে মাদ্রাসা। এখানে পড়ানোর বদলে লাদেন তৈরির পাঠ পড়ানো হয়। এই রাজ্যের মুর্শিদাবাদের সন্দেহজনক আতঙ্কবাদীদের খবর রাজ্যের পুলিশের কাছে নেই বা থাকেনা। দিল্লি থেকে এনআইএর দল এসে সেই আতঙ্কবাদীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। তারা উদ্ধার করছে প্রচুর পরিমানে বিস্ফোরক। রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় শুধু ভোটের জন্য রাজনীতির খেলায় ব্যস্ত। তিনি পুলিশকে দিয়ে চাপা দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা রাজ্যে ক্ষমতায় এলে এইসব কিছু চলবে না।
কৃষি বিল নিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত আলু ৫ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন৷ অথচ কলকাতা আসানসোল সহ বিভিন্ন শহরের বাজারে সেই আলু ৪০/৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝের ৩০/৩৫ টাকা কোথায় যাচ্ছে? সেই টাকার কিছুটা তৃণমূলের দলীয় কোষাগারে যাচ্ছে। চাষীরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পান, তার জন্য কৃষি বিল আনা হয়েছে। এই বিল কার্যকর হলে, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত জিনিস নিজের ইচ্ছেমতো যে কোনও দামে, যে কারোর কাছে বিক্রি করতে পারবেন।
তিনি রাজ্যের শিল্প নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, এখানে কোনও শিল্প নেই। আছে শুধু চপ মুড়ি শিল্প। তাইতো এই রাজ্যের সবাই অন্য রাজ্যে চাকরি করতে বা কাজ খুঁজতে চলে যাচ্ছে। আমরা ৬ মাস পরে এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসছি। তখন সব শিল্প এখানে হবে। কাউকে অন্য রাজ্যে যেতে হবেনা। যারা চলে গেছে, তাদের বাংলায় ফিরিয়ে এনে কাজ দেবো।