
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়েই সেই সূচনা হবে। উপস্থিত থাকবে কমপক্ষে ৫০ হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা। এআইএমআইএম সুপ্রিমো আসাদুদ্দিন ওয়াইসিকে রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের দিন অযোধ্যায় আমন্ত্রণ জানালেন তেলঙ্গানা বিজেপির মুখপাত্র কৃষ্ণ সাগর রাও। বিজেপি নেতা বলেছেন, বামপন্থী এবং এআইএমআইএম-এর মতো রাজনৈতিক দলগুলির বিরোধিতা খুবই সামান্য। কারণ সংবিধানে প্রত্যেক ধর্মের মানুষকে তাদের নিজেদের ধর্ম প্রতিপালনের অধিকার দেওয়া আছে এবং এধরনের বিরোধিতা করা ভিত্তিহীন, মন্তব্য তেলঙ্গানার বিজেপি মুখপাত্রের। কৃষ্ণ সাগর রাও আরও বলেন, ‘আমি যেসব বামপন্থী নেতারা বিরোধিতা করছেন এবং আসাদুদ্দিন ওয়াইসিকে ভূমি পূজায় যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। যাতে তাঁরা নিজেদের দলের সার্বভৌমিকতা এবং ভ্রাতৃত্বের প্রতি ব্যক্তিগত সহনশীলতা সম্পর্কে অবগত হন।’
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি কিছুদিন আগেই বলেছিলেন ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন আর এই কারণে ওনার রাম মন্দির ভূমি পুজোতে যাওয়া ঠিক হবে না। কারণ এটি সংবিধানের শপথের লঙ্ঘন। আমাদের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা সবথেকে বড় অধ্যায় সেটা ভুলে গেলে হবে না।” জানিয়ে দিই, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ কাজ শিলন্যাসের পর শুরু হবে। এই অনুষ্ঠানে অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মণ্ডলের মন্ত্রী, আরএসএস এর নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু উত্তরপ্রদেশের ক্যাবিনেট মন্ত্রীর
রবিবার তিনি ওয়েইসির উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা গর্বিত যে ভুমিপূজনের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন। তবে ওয়েইসির মতো বিরোধী দলের নেতাগুলি আপত্তি নিযে আমাদের না ভাবাই উচিত। আমি মনে করি না যে এই ধরণের ভিত্তিহীন অভিযোগের বিরুদ্ধে কারও প্রতিক্রিয়া জানানো দরকার। কারণ ভারতের সংবিধান প্রতিটি নাগরিকের ধর্ম পালনের সমান অধিকার রয়েছে। চাইলে ওয়েইসিও এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন। এমনকি কমিউনিস্ট পার্টির নেতারাও যোগ দিতে পারেন। এরফলে ভ্রাতৃত্বের প্রতি তাদের ব্যক্তিগত সহনশীলতার প্রদর্শনও হতে পারে।
আগামী পাঁচ তারিখ রাম মন্দিরের ভূমি পূজনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যরা, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা, আরএসএস সুপ্রিমো মোহন ভাগবত সহ বিজেপি নেতা, কর্মী, সমর্থকরা। ভূমি পূজার পর মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন নরেন্দ্র মোদি। গত বছরের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ওই ভূমি হস্তান্তর করতে কেন্দ্রকে আদেশ দিয়েছিল।