ধান কাটা শুরু, হঠাৎ বৃষ্টিতে চাষীদের চরম ক্ষতি
শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, রানাঘাট: বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে, ইতিমধ্যেই গতকালের আচমকা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কাটা ধান জমিতে ভাসছে, এমতাবস্থায় এই ধান জমিতে শুকিয়ে ঘরে তুলতে হলে,ধানের কল অর্থাৎ অঙ্কুর হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। ফলে চাষিরা ভীষণ চিন্তিত। অনেক অর্থ ব্যয়ে নিরলস পরিচর্যার পর যখন ফসল ঘরে উঠবে ঠিক তখনই এই বিপত্তি! এহেন পরিস্থিতিতে চাষি পরিবার গুলি দিশেহারা। ধান উৎপাদনে নদীয়া জেলা বরাবরই বর্ধমান জেলার পাশেই থাকে।
এ বছরও পর্যাপ্ত বোরো ধানের চাষ হয়েছে সমগ্ৰ জেলা ব্যাপী। মূলত তেহট্ট, করিমপুর, নাকাশিপাড়া, কালিগঞ্জ, পলাশী, কৃষ্ণগঞ্জ, হাসখালি, চাকদা, রানাঘাট-১, রানাঘাট-২, প্রভৃতি ব্লকেই এই বোরো ধানের চাষ বেশি হয়। কথা হচ্ছিল চাকদা থানার বালিয়ার চাষি কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি জানালেন, ২ বিঘা জমিতে ধানের চাষ করেছি। গত কালই ধান কাটা শুরু করেছিলেন কিন্তু দুভাগ্য, আচমকা বৃষ্টিতে সব পন্ড করে দিল। কারন, কাঁটা ধান গাছ সমেত জমিতে শুয়িয়ে রাখা আছে। ধান সহ গাছ না শুকোলে ধানের আংটি বেঁধে ঘরে তোলা সম্ভব নয়। গতকালের প্রবল বর্ষণে জমিতে জল থৈ থৈ করছে। এমতাবস্থায় কাঁটা ধান জমিতে হাবুডুবু খাচ্ছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন তোলার দাবিতে সশস্ত্র বিক্ষোভ আমেরিকায়
একই আক্ষেপ ফুলিয়ার কৃষক দুলাল ঘোষের। তিনি বর্গা চাষি। আড়াই বিঘা জমিতে বোরোর চাষ করেছেন। ধান জমিতে পেকে গেছে। দু’এক দিনের মধ্যেই কাটার মনস্থির ও করেছেন। সেই মতো ক্ষেতমজুর দের সঙ্গে কথা ও প্রায় ফাঁকা কিন্তু হঠাৎ এই বৃষ্টিতে বিপত্তি। পাঁকা ধান বৃষ্টির দাপটে জমিতে শুয়ে পড়েছে, এই ধান কেটে ঘরে তুলতে মজুর(লেবার) বেশি লাগবে, এতে ব্যয় বেড়ে যাবে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই সমস্যা জেলার অধিকাংশ চাষিরই।