fbpx
কলকাতাহেডলাইন

‘রবীন্দ্রনাথ আবেগের নাম’, উপাচার্যের ‘বহিরাগত’ মন্তব্যে ব্যথিত অনুপম হাজরা

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক:  অনুব্রত মণ্ডলের পর এবার অনুপম হাজরা। শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা প্রাঙ্গণে পাঁচিল দেওয়া ঘিরে তৈরি বিতর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেই ‘বহিরাগত’ আখ্যা দিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তী। এই মন্তব্যের জন্য এবার উপাচার্যের সমালোচনায় বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। টুইট করে  বিজেপি নেতা অনুপম লেখেন, ”রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বহিরাগত বলাটা আমার কাছে শ্রুতি-মধুর মনে হয়নি। আমার মতো বহু প্রাক্তনীও এতে ব্যাথিত।”

পৌষমেলার মাঠে ৮ ফুট পাঁচিল তোলার কাজ ঘিরে এখন সমালোচনার কেন্দ্রে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কবিগুরুর হাতে তৈরি মুক্ত শিক্ষাঙ্গনে পাঁচিল তোলার সিদ্ধান্ত এককভাবে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীরই, এই অভিযোগে সরব পড়ুয়া থেকে প্রাক্তনী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। গত সপ্তাহে উপাচার্য নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পাঁচিল তোলার কাজ করালেও, স্থানীয়দের একাংশ পে-লোডার নিয়ে গিয়ে সেই নির্মাণ ভেঙে দেন। এই নজিরবিহীন অশান্তির পরই ফের খবরের শিরোনামে চলে আসে দেশের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্বভারতীর ঘটনায় কর্তৃপক্ষের পক্ষেই সওয়াল করে চলেছে রাজ্য বিজেপি। বরং তৃণমূলের মদতেই পাঁচিল ভাঙার ঘটনা ঘটেছে বলে মত বিজেপি নেতাদের। শুরু থেকেই এই ঘটনায় বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সঙ্গে একমত রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা। এর মাঝেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তীর একটি মন্তব্যে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়েই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন উপাচার্য। রবি ঠাকুরকে ‘বহিরাগত’ অ‍্যাখ‍্যা দিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তী।

বিশ্বভারতীর ঘটনায় কর্তৃপক্ষের পক্ষেই সওয়াল করে চলেছে রাজ্য বিজেপি। বরং তৃণমূলের মদতেই পাঁচিল ভাঙার ঘটনা ঘটেছে বলে মত বিজেপি নেতাদের। শুরু থেকেই এই ঘটনায় বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সঙ্গে একমত রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা। এর মাঝেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তীর একটি মন্তব্যে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়েই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন উপাচার্য। রবি ঠাকুরকে ‘বহিরাগত’ অ্যা খ্যান দিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন: রাজ্যপালের কাছে বিশ্বভারতীর সার্বভৌমত্ব রক্ষার আবেদন বিজেপির বুদ্ধিজীবী সেলের

উপাচার্যের ওই মন্তব্যের সমালোচনায় টুইট করলেন অনুপম হাজরা। তিনি লিখেছেন, ”আমি গর্ববোধ করি যে বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানে ছোট থেকে পড়াশোনা করেছি। যে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তাই রবীন্দ্রনাথ আমার কাছে কোনও ব্যক্তি নয়। এক আবেগের নাম।” অনুপম হাজরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টে আরও লেখেন, ”তাই তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙা যেমন মেনে নিতে পারিনি। তেমনই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বহিরাগত বলাটা আমার কাছে শ্রুতি-মধুর মনে হয়নি। আমার মতো বহু প্রাক্তনীও এতে ব্যাথিত।”পাঁচিল ভাঙচুরের মতো বিশৃঙ্খল ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে তিনি অনশন আন্দোলনে নামতেও রাজি বলে টুইটে উল্লেখ করেছেন।

বিশ্বকবিকে নিয়ে উপাচার্যের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও। উপাচার্যকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। উপাচার্য বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তীক কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ”এই ধরনের কথা কোনও সুস্থ মানুষ বলতে পারে না। একমাত্র অসুস্থ এবং পাগলরাই এ কথা বলে।’

Related Articles

Back to top button
Close