গুরুত্বপূর্ণপশ্চিমবঙ্গহেডলাইন
হাওড়ায় চালু হল পকসো আদালত

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: শিশুদের পকসো আইনে বিচারের জন্য হাওড়া আদালতে চালু হল নতুন পক্ষ কোর্ট রুম। শুক্রবার এই ধরনের শিশুদের উপযোগী কোর্ট রুম ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থট্টাথিল বি রাধাকৃষ্ণান।
হাওড়া আদালত সূত্রে খবর, শিশুদের যৌন নিগ্রহের বিচার করার জন্য ২০১৫ সালে হাওড়া আদালতে একটি পৃথক পকসো কোর্ট রুমের এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। এই রুম নির্মাণে ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই কোর্ট রুমের বিশেষত্ব হল, শিশুরা সরাসরি অভিযুক্তের মুখোমুখি হবেন না। কোর্ট রুমের ভেতরে বিচারকের বসার জায়গার সামনেই থাকবে একটি এলইডি স্ক্রিন। পাশে থাকবে অভিযুক্তের ঘর। সেইখানে নিগৃহীত শিশু ক্যামেরার ব্যবহারে সরাসরি দেখতে পাবে অভিযুক্তকে। শিশুদের জন্য থাকবে আলাদা প্লে রুম। তাদের ভালো থাকার জন্য রাখা থাকবে নানান ধরনের খেলনা এবং দেওয়াল জুড়ে আছে নানান জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র। যা নিগৃহীত শিশুটির কাছে আরামদায়ক হতে পারে। এর পাশাপাশি শিশুটি তার বাবার মায়ের সঙ্গেও ওই একই রুমে জেরা চলাকালীন থাকতে পারবে। এছাড়াও কোর্ট রুমের ভেতরে শিশুর সঙ্গে বিচারকের আলাদা ভাবে কথা বলার জন্য ভিন্ন একটি রুম একই ভাবে সাজানো থাকবে।
হাওড়া জেলা আদালতের জেলা জজ শম্পা দত্ত পাল বলেন, এই আদালতকক্ষে শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা থাকছে। প্রতি বছরে গড়ে ১০০-র বেশি পকসো সংক্রান্ত মামলা হাওড়া আদালতে বিচার হয়। এরকমই এখনো সাড়ে চারশোর মতো মামলা বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। মামলার শুনানির সুবিধার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাওড়া ক্রিমিনাল বার লাইব্রেরীর সভাপতি সমীর বসু রায়চৌধুরী বলেন, সরাসরি অভিযুক্তকে না দেখতে পাওয়ার ফলে নিগৃহীত শিশুটি তার মনের কথা নির্ভয়ে বলতে পারবে। এতে বিচার প্রক্রিয়ার সুবিধা হবে।
এর পাশাপাশি হাওড়া ক্রিমিনাল কোর্ট বার এসোসিয়েশন এর সম্পাদক শুভাশিস চক্রবর্তী জানান, এই আইনের ক্ষেত্রে নিগৃহীত শিশু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে। সেই কারণেই কোর্ট রুমের মধ্যে ভার্চুয়াল সাক্ষ্যদান ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ধরনের কোর্ট রুমে শিশুরা স্বচ্ছন্দ বোধ করবে। এই ধরণের আলাদা কোর্ট রুম এ রাজ্যে প্রথম বলে জানা গিয়েছে।