পঞ্চায়েত অফিসে কাজ হচ্ছে না, বিক্ষোভ বাসিন্দাদের
ভীষ্মদেব দাশ, পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের আমদাবাদ-২ পঞ্চায়েত অফিসে দীর্ঘদিন প্রধান আসছেন না বলে অভিযোগ। প্রধান না থাকার ফলে সমস্যায় পড়েছেন পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। রেসিডেন্সিয়াল, ডেথ সার্টিফিকেট কিংবা কন্যাশ্রী বা যুবশ্রী প্রকল্পের জন্য প্রধানের দ্বারস্থ হচ্ছেন বাসিন্দারা। যুবশ্রী প্রকল্পের ফর্ম জমা হচ্ছে না। কন্যাশ্রীর জন্য মেয়েরা গতকয়েক দিন ধরে ঘুরে যাচ্ছে। রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। ১০০দিনের কাজকর্ম এগোচ্ছে না। এই অঞ্চলের বহু মানুষ পঞ্চায়েত থেকে কোন পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সেক রহসন। পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না তাই বৃহস্পতিবার বাসিন্দারা পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখান। কর্মীদের অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ব্লক সভাপতি মেঘনাথ পালের নির্দেশে অফিসে যাচ্ছি না বলে সাফ জানিয়েছেন প্রধান সবিতা বারিক। লকডাউনে অফিসের কাজকর্ম কম বলেও দাবি প্রধানের। বললেন, এক সপ্তাহ মতো হলো অফিস যাচ্ছি না। কিন্তু সে রকম কিছু কাজ থাকলে বাড়ি থেকেই কাজগুলো করে দেওয়া হয়।
নন্দীগ্রাম-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেঘনাথ পাল বলেন, প্রধান বেশ কয়েকদিন যাচ্ছেন না। কাজকর্ম তিনি বাড়ি থেকেই করছেন। অফিসে যেতে না বলা হয়নি। অঞ্চল সভাপতি রহসন বাবুর সঙ্গে প্রধান সবিতা বারিকের সঙ্গে একটা রাজনৈতিক মত বিরোধ রয়েছে। আমরা শীঘ্রই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করবো। এছাড়াও ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুরজিৎ রায় বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সাধারণ মানুষের যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য প্রধানের সাথে কথা বলবো”।