অগ্রদ্বীপে নদীবাঁধে ভাঙন ঘিরে আতঙ্ক, এলাকা পরিদর্শনে প্রশাসন ও সেচ দফতরের আধিকারিকরা
দিব্যেন্দু রায়, কাটোয়া: ভাগীরথীর তীরবর্তী কাটোয়া-২ ব্লকের অগ্রদ্বীপ অঞ্চল এমনিতেই ভাঙন কবলিত এলাকা বলে পরিচিত। তারপর নদীর জল হু হু করে বাড়াতে থাকায় অগ্রদ্বীপ পঞ্চায়েতের চরসাহাপুর গ্রামের নদীবাঁধের বেশকিছুটা অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে । ফলে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্লাবনের আশঙ্কায় অনেকে ঘর থেকে জিনিষপত্র অন্যত্র সরাতে শুরু করেছেন বলে খবর ।
সোমবার স্থানীয়দের কাছে নদীবাঁধে ভাঙনের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসে পুলিস, প্রশাসন ও সেচদপ্তরের আধিকারিকরা । ভাঙন ঠেকাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করা হয়েছে । নদীবাঁধের ওই ভাঙা অংশ বাঁশের খাঁচা করে বালির বস্তা দিয়ে মেরামতির কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানা গেছে । কাটোয়া-২ ব্লকের বিডিও শমীক পানীগ্রাহী জানিয়েছেন, এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে ৷ আপাতত সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিবছর অগ্রদ্বীপ পঞ্চায়েতের অগ্রদ্বীপ গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকাকে একটু একটু করে গ্রাস করছে ভাগীরথী । এলাকার ভাঙন ঠেকানোর জন্য বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি। এনিয়ে প্রশাসন ও সেচ দপ্তরের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা ।
জানা গেছে,অগ্রদ্বীপ অঞ্চলের চরসাহাপুর এলাকায় প্রায় ৮ মিটার চওড়া নদীবাঁধ রয়েছে । তার মধ্যে প্রায় তিন মিটার চওড়া ও প্রায় ২০ মিটার লম্বা অংশ জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে । চরসাহাপুরে ওই নদীবাঁধ ভেঙে গেলে দাঁইহাট, কাটোয়া সহ মহকুমা এলাকার বিস্তীর্ন অংশ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ওই সমস্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে । স্থানীয়দের অভিযোগ,বছর দুয়েক আগে চর সাহাপুরে নদীবাঁধের ওই অংশে ভাঙন শুরু হয়েছে। কিন্তু কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি । কাটোয়া মহকুমা সেচদপ্তর সূত্রে খবর, প্রায় আড়াই মাস আগে ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল অগ্রদ্বীপের চর সাহাপুর এলাকার নদীবাঁধ সংস্কারের জন্য । কিন্তু এযাবৎ কাজ শুরু হয়নি । কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ” চর সাহাপুর গ্রামের নদীবাঁধের ওই অংশের কাজের জন্য টেণ্ডার আগেই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু করোনার অজুহাত দেখিয়ে ঠিকাদার কাজ শুরু করতে বিলম্ব করেছে । আমরা দ্রুত কাজ শুরু করতে বলেছি।”