
অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: বিজেপির কিছু নেতা অশ্রদ্ধার ভাষার প্রয়োগ করছেন। আভিযোগ করলেন তৃণমূলের মহা সচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার বেহালায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। পার্থ বলেন, ‘এখন দেখা যাচ্ছে এ টু জেড বিজেপি র কিছু কিছু নেতা ভুল তথ্য, কুকথা ও অসত্য কথা বলছেন। তাদের শুভ বুদ্ধি উদয় হোক।’
গত কয়েকদিন ধরেই বাকযুদ্ধে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যে লাগাতার কিছু না কিছু ঘটনা ঘটছে প্রায়দিন। আর তাতেই বিজেপি তৃণমূল একে অপরকে নিশানা করছেন। সম্প্রতি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পুলিশকে কটাক্ষ করেন। তা মোটেও ভালো চোখে নেয়নি তৃণমূল। তারপর থেকেই একে একে দলের হেভিওয়েট নেতারা বিজেপির বিরুদ্ধে আসরে নামে।
এদিন মহাসচিব ও সেই ইঙ্গিত দিলেন। তিনি বলেন, ‘ এরাজ্যে সুস্থ গণতন্ত্রকে বিনষ্ট করার চেষ্টা যেন কেউ না করে। ভুল তথ্য, অসত্য, কুকথার রাজনীতি বাংলায় কখনো ছিল না। আমাদের রাজনৈতিক বিবাদ থাকতে পারে। আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শে পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু আমরা কখনই অর্থকথা বাক্য প্রয়োগ করিনি।’
এদিন বেহালার অনুষ্ঠানেও তৃণমূলে যোগদান পর্ব অব্যাহত ছিল। বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় লেগেছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূলে যোগদান এর পর্ব চলছে। এ প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, ‘সবাই বুঝেছে যে রাজনীতি চালু হয়েছে তা প্রতিশ্রুতির। বিগত কয়েক বছর ধরেই বিজেপি সরকার খালি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার কোনটাই পালন করেনি। উল্টে মানুষের বিপন্নতা বেড়েছে। রেল, সেল, বিএসএনএল, এয়ারপোর্ট এর মত একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি হচ্ছে। অথচ রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দেয়া হচ্ছেনা। তাই যুব-ছাত্র সব ধরনের কর্মীরা বুঝেছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র বাঁচার উপায়। যিনি কোভিড ও উন্নয়ন একসঙ্গে লড়াই করছেন। তাই যোগ দেওয়ার ঢল নেমেছে টিএমসি তে।’
অন্যদিকে, মুম্বাইতে ড্রাগ সিন্ডিকেটের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা রিয়া চক্রবর্তীকে সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পার্থ বলেন, ‘কোভিড ও উন্নয়ন এই মুহূর্তে আমাদের স্ট্যান্ড। কেউ নামলে আমরা বন্ধ করতে পারি না। রিয়া কেন অনেককেই বিভিন্ন এজেন্সির দিয়ে, কত রাজনৈতিক নেতাকে হয়রানি করানো হচ্ছে। সুস্থ রাজনীতি আসুক। প্রকৃত দোষী শাস্তি পাক। ভেদাভেদ জাতপাত নয়। হিন্দি অহিন্দি নয় আমরা সবাই ভারতীয়। অকারণে কাউকে চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার পক্ষে আমরা নই।’