অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: ‘বাংলার মানুষের জন্য কি করেছেন পরিসংখ্যান দিন?’ তোপ দেগে পাল্টা প্রশ্ন তৃণমূলের মহা সচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। শুক্রবার বেহালায় তৃণমূল পার্টি অফিসে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে কাজের পরিসংখ্যান জানতে চাইলেন পার্থ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওনারা তো খালি দাও দাও করেন। কখনো মৃত্যুর পরিসংখ্যান দাও। কখনো গাছের পরিসংখ্যান দাও। কখনো ট্রেনের পরিসংখ্যান দাও। রাজ্যে কত গাছ পড়ল স্রেফ তার হিসেব কষছেন। কিন্তু কতজন মানুষ মারা গেলেন, তাদের পাশে কীভাবে দাঁড়ানো যায়, তা নিয়ে কোনও মাথাব্যথাই নেই।’
এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘বাংলার পরিস্থিতি ৭৫ সালের এমার্জেন্সির থেকেও ভয়ানক। চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারীতা চলছে।’ আর তাতেই বেজায় চটলেন তৃণমূলের মহাসচিব। তিনি সরাসরি দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘ইতিহাস ঘেটে দেখান বাংলার কোন মুখ্যমন্ত্রী করোনার মত বিশ্ব ব্যাপী মহামারী ও আমফানের মতো বিধ্বংসী ঝড় একসঙ্গে সমলিয়েছে। উনি তো ৭৫ সাল দেখেননি। ওনার নামই তো কেউ জানতো না। কোথায় ছিলেন তাই জানিনা। কাজ করুন মানব ধর্ম পালন করুন। মানুষকে নিয়ে কাজ করুন। কথা কম কাজ বেশি এই ধর্ম নিয়ে চলুন।’
দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে পার্থ বলেন, ‘ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন দিলীপ বাবুরা। প্রতিদিন একই কথা বলছেন। দলের লোকের গোতা খেয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন। সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি বাক্য বিধি মেনে চলুন। এ সময়ে বংলার মানুষ বিপন্ন। দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। আর ওনারা শুধু মাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছেন। একদিকে মানুষের মৃত্যু মিছিল চলছে আর ওনারা খালি সমালোচনা করছেন। এ সময় রাজনীতির নয় মুখ বন্ধ করে কাজ করার সময়। সাধারণ মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রের কাছ থেকে পাওনা টাকা কথা একবারও বলছে না বিজেপির কেউ।’ পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর কেউ এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আক্রমণ করে বলেন, ‘ রাজ্যপাল তো এতো জায়গায় ঘোরেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও ঘুরেছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়। উনি বলতে পারছেন না এসময় কেন্দ্রকে কোভিড-১৯ ফান্ডের টাকা দেওয়ার কথা।’
অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে রাজনীতি বন্ধের আবেদন জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন মানুষের জীবন নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হোক। লকডাউন এর আগে পরিচয় শ্রমিক নিয়ে ভাবলেন না কেন? ব্যাপক বিপন্নতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে শ্রমিকরা। একটাই কথা পরিযায়ী শ্রমিকরা বিপন্ন। এখানে কোন ধর্ম, বর্ণ, স্বাদ নয়। বিপন্নতা দেখে সকলের পাশে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা সকলকে এই রাজ্যে ফেরাতে চাই। কিন্তু আমাদের উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। তাই আমরা পরিকল্পনা করে ধীরে ধীরে তাদের রাজ্যে আনতে চাই।’