পুলিশের মারধরে বিচারাধীন বিজেপি কর্মীর মৃত্যুকে ঘিরে উওাল পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর

নিজস্ব প্রতিনিধি, পটাশপুর (পূর্ব মেদিনীপুর): পুলিশ মারধরের বিচারাধীন ব্যক্তির মৃত্যুর ঘিরে উওাল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর। ঘটনাটি ঘিরে রাজনৈতিক চাপান-উতোর তৈরি হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম কালিপদ ঘোড়াই। তার বাড়ি পটাশপুর থানার কনৌকপুর গ্রামে। বিজেপি করার অপরাধে তুলে নিয়ে পুলিশের হেফাজতের থাকাকালীন মারধরের কারণে মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ পরিবার থেকে বিজেপি নেতৃত্বের।
জানা গেছে, গত কয়েক মাস পটাশপুরে গ্রামের এক নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে মৃত কালিপদ ঘোড়াই ভাইপো বিরুদ্ধে। কালিপদ সহ পরিবারের সদস্যরা এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত। নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা এলাকায় তৃণমূল সর্মথক হিসাবে পরিচিত বলে এলাকায় স্থানীয় বিজেপি নেত্বয়দের দাবি। অপহরণকারী যুবক ও তার পরিবারের সদস্যদের না পেয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর কালিপদ ঘোড়াইকে তুলে নিয়ে আসে পটাশপুর থানার পুলিশ। হেফাজতে থাকাকালীন কালিপদকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ বলে অভিযোগ। তারপরে কাঁথি আদালতে হাজির করেন। তদন্তে স্থার্থে অভিযুক্তকে জেল হাজতের থাকার নির্দেশ দেন।
কাঁথি জেলে থাকাকালীন কালিপদ অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশের নজরদারিতে কলকতার একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছাতে শোকের ছায়া নেমে আসে। যদিও এই মারধরের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে পুলিশ। এগরায় মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বলেন কোনও মারধরের অভিযোগ পুরোপুরি ভিওিহীন। অভিযোগে ভিওিতে কালিপদকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। স্বাস্থ্যপরীক্কার পরই তাকে আদালতের পাঠানো হয়েছিল।
মৃত কালিপদ ঘোড়াইয়ের স্ত্রী আলপনা ঘোড়াই বলেন, পটাশপুর থানার ‘ছোটবাবু’ আমার স্বামীকে মেরে দিল। বিনা দোষে তুলে নিয়ে গিয়ে থানার মারধর করে থানার থানার অমিতবাবু(ছোটবাবু)৷ সঠিক তদন্ত চাই। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, পটাশপুর থানার ওসি চন্দ্রকান্ত শ্যাসমল তৃণমূলের দলদাসের পরিণত হয়েছে। কোন কারণ ছাড়া বিজেপি কর্মীদের তুলে নিয়ে এসে মারধর করেছে। পটাশপুর থানার ওসির পদত্যাগ চাই৷ এই নিয়ে আগামীকাল আমরা আন্দোলনে নামব।
আরও পড়ুন:নিউটাউনকে আরও বেশি পরিবেশবান্ধব করে তুলতে চালু হল স্মার্ট সাইকেল পরিষেবা
যদিও এই সব অভিযোগ উড়িয়ে পটাশপুরে তৃণমূল নেতা তাপস মাঝি বলেন, এখানে শাসক দলের প্রভাব বলতে কিছু নেই। গত ২১ জুলাই এলাকায় নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়েছে। ২৪ জুলাই নাবালিকার বাবা থানার অভিযোগ করেন। সমস্ত মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। মৃত্যুকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতি করে না৷ অসুস্থ অবস্থায় কলকাতার মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যেদিন গ্রেফতার হয়েছিল সেদিন তৃণমূলের কথা বলেনি। মৃত্যু হলেই রাজনীতি করতে বিজেপি বাংলায় একটি সংস্কৃতি এনেছে। পুলিশ আইনের রক্ষক, পুলিশই এর উওর দেবে।