
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে মোদি-নীতীশ জুটির বিরুদ্ধে কার্যত একা হাতে দুর্দান্ত লড়াই লড়েছেন আরজেডি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব। সেই লড়াইয়ের জন্য এবার বিহারের যুবা নেতাকে অভিনন্দন জানালেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজেডি নেতাকে নিজে থেকেই ফোন করলেন তৃণমূল নেত্রী। বিহারে ভোট চুরির যে অভিযোগ আরজেডি করেছে, সেই অভিযোগকে সমর্থন করে তেজস্বীকে লড়াই চালু রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা।
একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষা, যেখানে নীতীশের গদিচ্যুত হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই সব আশায় জল ঢেলে টানা চতুর্থবারের জন্যে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দখল করতে চলেছেন নীতীশ কুমার।নির্বাচনের প্রচারের সময় তেজস্বী পাশে পাননি বাবাকে। একাই একের পর এক সভা করেছেন। একদিনে ১৭টি সভা করে রেকর্ড করেছেন। মোদী-নীতীশের ডবল ইঞ্জিন-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মহাজোটকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এত কিছুর পর ক্ষমতায় আসতে না পারলেও তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বেই বিহারে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে আরজেডি।
উল্লেখ্য, ভোটের ফলপ্রকাশের পর আজই প্রথম জনসমক্ষে আসেন আরজেডি নেতা। আর ফলাফল প্রসঙ্গে নিজের প্রথম প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দাবি করেন, বিহারের মানুষ মহাজোটকে সমর্থন করেছে। কিন্তু অনৈতিকভাবে নির্বাচন কমিশন এনডিএকে জিতিয়ে দিয়েছে। তেজস্বী দাবি করেন, তিনি এখনও আত্মবিশ্বাসী যে আগামী দিনে বিহার মহাজোটই সরকার গড়বে। সূত্রের খবর, তরুণ নেতার এই লড়াকু মানসিকতার প্রশংসা করেছেন মমতা। তাঁর লড়াইয়ে সর্বতভাবে পাশে থাকার বার্তাও দিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: গার্ড অফ অনার না পেয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল, তোপ দাগলেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে
আসলে, বিহার ভোটের ফলাফল যাই হোক, ৩১ বছরের তেজস্বী একার হাতে বিজেপি-আরএসএস তথা মোদি-নীতীশের কার্যত অপরাজেয় জুটিকে যে টক্করটা দিয়েছেন, তা মন জিতেছে অনেক নেতারই। ব্যতিক্রম নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাছাড়া বিজেপির বিরুদ্ধে যেই লড়াই করুক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল। আর লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর সম্পর্ক বরাবরই ভাল। তেজস্বী নিজেও মমতার আশীর্বাদধন্য। গতবার ব্রিগেডে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের মহা সমাবেশেও ভাষণ দিয়ে গিয়েছেন তিনি। এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা মঞ্চেও। বিহার ভোটের ফলাফলের পর তাই ‘পুরনো বন্ধু’র পাশে থাকার বার্তা দিয়ে দিলেন তৃণমূলনেত্রীও।