বিরল কচ্ছপ বাঁচালেন পিংলার চণ্ডীচরণ
ভাস্করব্রত পতি, তমলুক : ভুরিভোজ করে খেতেই পারতেন তিনি। অথবা বিক্রি করেও মোটা টাকা পেতেই পারতেন তিনি। কোনওটাই করেননি। কুড়িয়ে পাওয়া কচ্ছপটাকে নতুন জীবন দিলেন তিনি। কচ্ছপটি ইন্ডিয়ান ফ্ল্যাপসেল টার্টল প্রজাতির এবং আনুমানিক ওজন প্রায় তিন কেজির কাছাকাছি।
পিংলার আস্তি গ্রামের চন্ডীচরণ চন্দ সন্ধ্যায় স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় একটি কচ্ছপ রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পান। তিনি রৌরকেল্লাতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। এই কোভিড মহামারিতে উনি বাড়িতেই রয়েছেন।
কচ্ছপটি বাড়িতে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঐ এলাকার স্থানীয় বিভিন্ন মানুষ জানতে পেরে বেশি টাকায় কিনে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন চন্ডীচরণবাবু স্থানীয় মানুষজনকে বাস্তুতন্ত্র কি এবং জলজ বাস্তুতন্ত্রে এর বিরাট ভূমিকার কথা তাঁর সাধ্যমতো বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং ভারতীয় দন্ডবিধি অনুযায়ী এই ধরনের প্রানী ক্রয় বা বিক্রয় করলে জেল ও জরিমানা উভয়ই হতে পারে, এ সম্পর্কে অবহিত করেন। লোভের কাছে মাথা নোয়াবার চেষ্টা করেননি তিনি।
আরও পড়ুন: একুশে বাংলা দখলের লক্ষ্য নিয়ে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে পাঁচ দিনের ম্যারাথন বৈঠক
পরবর্তী সময়ে উনি যোগাযোগ করেন মেদিনীপুর ছাত্রসমাজের সভাপতি শিক্ষক কৃষ্ণগোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। ইচ্ছাপ্রকাশ করেন বন দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে কচ্ছপটি তুলে দেওয়ার জন্য। সেই মোতাবেক কৃষ্ণগোপালবাবু এটি সংগ্রহ করে ছাত্রসমাজের সহ সম্পাদক শিক্ষক অনিমেষ প্রামানিক, কোষাধ্যক্ষ কৌশিক কঁচ, সদস্য শিক্ষক গিরিধারী মাইতিকে সাথে নিয়ে মেদিনীপুর সদর রেঞ্জ অফিসে তুলে দিয়ে আসেন।
কৃষ্ণগোপাল চক্রবর্তী বলেন, চন্ডীবাবুর মতো সকলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে এঁদের মেরে ফেলার পরিবর্তে বাঁচানোর কথা বেশি করে ভাবলেই আমরা আমাদের বাঁচার অনুকূল পরিবেশ পাবো। আমাদের বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করতে পারবো।