লকডাউনে বন্ধ খেলা, ড্রেন পরিষ্কারে নামলেন সার্কাস শিল্পীরা

শ্যাম বিশ্বাস, উওর ২৪ পরগনা: দীর্ঘ চার মাস এম্পায়ার সার্কাসের ২৪ জন শিল্পী আটকে রয়েছে হাড়োয়া সার্কাস ময়দানে। একদিকে লকডাউন এর জের, অন্যদিকে বিপন্ন সার্কাস শিল্পীরা, বিচ্ছিন্ন মাঠে পড়ে রয়েছে। সার্কাসের সরঞ্জাম বিপন্ন হচ্ছে কুকুর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। মালিক আক্তার হোসেন, দুঃসময় সার্কাস শিল্পী দের হাত থেকে সরে গেছে। তাই একদিকে পেটের রুজি-রোজগারের টান পড়েছে, অন্যদিকে প্রাণীকুল কুকুর, পাখি, ম্যাকাও কাকাতুয়া ও মোক্কাম বিপন্ন হচ্ছে। তাদের বেঁচে থাকার জন্য একদিকে খাদ্যসঙ্কট, অন্যদিকে খাঁচায় বন্দি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।
সার্কাস শিল্পীরা নিজেদের জীবন বাঁচাতে তাই কেউ দিনমজুর রাজমিস্ত্রি আবার কেউ রাস্তার ড্রেনের কাজ করছে। সবমিলিয়ে যারা একসময় বারের খেলা দেখাতো, গান করত, বিভিন্ন খেলার মধ্যে দিয়ে দর্শকদের বিনোদনের মনোরঞ্জন করতো তারা আজকে জীবন বাঁচাতে রাস্তায় নেমেছে বিভিন্ন পেশায় কাজ করতে। এম্পিয়ার সার্কাস এর মালিক আখতার হোসেনের কাছে প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা পাবে এই শিল্পীরা। এদের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া কেরালা, ঝারখান্ড, বিহার সহ দেশের নানা প্রান্তে। রাজ্য সরকারের সবরকম ব্যবস্থা করলেও মালিকের দ্বিচারিতার জন্য এরা কেউ বাড়িতে ফিরতে পারছে না। এদের পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ফরিদ জমাদার , জাহাঙ্গীর মোল্লা। এদের সব রকম, যেমন খাবারের ব্যবস্থা করেছে।
অন্যদিকে তাদের শারীরিক অসুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে বারের খেলা দেখাতে গিয়ে বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে যে সুনিতা দেবী তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। মালিককে জানানো সত্ত্বেও ওষুধেরর ব্যবস্থা করেনি। স্থানীয় প্রশাসন তাদের ব্যবস্থা করেছে । ইতিমধ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে সার্কাসের ২৪ জন শিল্পী। তারা বসিরহাট জেলা পুলিশ সুপারের কাছে স্থানীয় থানায়, বিডিও ও পঞ্চায়েত প্রশাসনকে সার্কাস মালিক আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারা চাইছেন তাদের নায্য পরিশ্রমের মজুরি সার্কাস মালিক দিয়ে দিলে তারা বাড়ি চলে যেতে পারবে। এর মধ্যেই আমফান তাণ্ডবের পর নুতন করে দেখা দিয়েছে জল বাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। সময় যত যাচ্ছে বিপন্ন হচ্ছে কুকুর থেকে পাখি, অনাহারে দিন কাটাচ্ছে সার্কাস শিল্পীরা,তারা আজ খুব বিপদের মাঝখানে।