নভেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেষবার দেশের উদ্দেশে ভাষণ দেন ১২ মে, তখন তিনি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ২০ লাখ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেন। আজ জাতীয় উদেশ্যে ভাষণের শুরুতেই মোদি বলেন, কনটেনমেন্ট জোনে কড়া নজর রাখতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।করোনায় মৃত্যুর নিরিখে অন্য দেশের তুলনায় ভাল ভারত। সঠিক সময়ে লকডাউন কার্যকরের সুফল মিলেছে বলে জানা প্রধানমন্ত্রী।
লকডাউনে দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ‘গরিব কল্যাণ যোজনা’ শুরু করে। ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’ এবছর দীপাবলি পর্যন্ত পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে চাল, ডাল, আটা, চানা দেওয়া হবে, যারফলে উপকৃত হবে ৮০ কোটি গরিব মানুষজন। এর ফলে ৯০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ ব্যবস্থাও শীঘ্রই চালু হবে বলে জানান তিনি। এই প্রকল্পের জন্য দেশের প্রত্যেকটি কৃষক ও করদাতাদের তিনি ধন্যবাদ জানান। তিনি আজ আবারও লোকালের জন্য ভোকাল এবং আত্মনির্ভরশীল হওয়ার কথা জানান। এদিন বলেন, নভেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পে ৯০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ। প্রতি পরিবারকে মাসে ১কেজি করে ছোলা দেওয়া হবে। মাসে মাথা পিছু ৫কেজি করে চাল কিংবা ৫কেজি ডাল দেওয়া ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর। গরিবরা খেতে পাছে না এমন ওবস্থা জেন না হয়, গরিব কল্যাণ প্রকল্পের জন্য ২ লক্ষ কোটি বরাদ্দ।
পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে প্রায় ৩ লাখ শ্রমিককে তাঁদের কর্মক্ষমতা আরও উন্নত করে তোলার সুযোগ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় দক্ষতা মন্ত্রক। এই সব পরিযায়ী শ্রমিকদের যার যা দক্ষতা আছে তা আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে মন্ত্রক। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাঁরা যাতে আরও বেশি রোজগার করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনায় একদিনে রেকর্ড ৬৪ জনের মৃত্যু
আনলক ২.০ তে দোকানে পাঁচজনের বেশি জমায়েত হতে পারবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। এছাড়া নাইট কার্ফু রাত ১০ থেকে সকাল ৫ টা অবধি করা হয়েছে। অর্থাত্ কমানো হল নাইট কার্ফুর সময়। কেন্দ্র জানিয়েছে যে আরও বেশি সংখ্যক স্পেশাল ট্রেন ও বিমান চালানো হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১ জুলাই অবধি বন্ধ থাকলেও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য ট্রেনিং সেন্টারগুলি খোলা থাকবে ১৫ জুলাইয়ের পর। খুলবে না জিম, সুইমিং পুল, বিনোদন কেন্দ্র, থিয়েটার, বার, সিনেমা হল প্রভৃতি। তবে পরবর্তী সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এসব বিধিনিষেধ শিথিল করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।