‘খেলনার জন্য ভোকাল’….দেশীয় জিনিস তৈরির ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার ফের জাতির উদ্দেশে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নিজের বক্তব্য রাখেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি বলেন, ‘ এই করোনা আবহেও দেশের নাগরিক নিজেদের কর্তব্যের সঙ্গে পরিচিত। সব ধরনের উৎসবেই মানুষ সমানভাবে অংশগ্রহণ করছেন।‘
এর পাশাপাশি এদিন তিনি আবারও একবার ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী। তরুণ এবং যুবসমাজকে দেশীয় প্রযুক্তিতে খেলনা তৈরির অনুরোধ জানালেন মোদি। এদিনের মন কি বাত অনুষ্ঠানে কবিগুরুর কথা উদ্ধৃত করে মোদি বলেন, “খেলনা এমন হওয়া উচিত যা বাচ্চাদের মনঃসংযোগ, সৃষ্টিশীলতাকে বের করে আনে।” তবে প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপের সুরে বলেন, প্রতিবছর ভারতে ৭ লাখ কোটি টাকার ব্যবসা হয় খেলনার বাজারে। অথচ তাতে ভারতের যোগদান অত্যন্ত কম। ভারতের মতো তরুণ জনসংখ্যার দেশে এটা শোভা পায় না। তাই সরকার দেশি খেলনা তৈরিতে উৎসাহ প্রদান করছে। আমাদের দেশে লোকাল খেলনার অত্যন্ত সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। কিছু প্রতিভাবান এবং দক্ষ কারিগর আছেন যাঁরা ভালো খেলনা বানানোর বিশেষ ক্ষমতা রাখেন। ভারতের কিছু জায়গা টয় ক্লাস্টার অর্থাৎ খেলনা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে।
যারা স্টার্টআপ করছেন, নতুন ব্যবসা খুলছেন তাঁদের কাছে অনুরোধ, আসুন একসঙ্গে আমরা খেলনা তৈরি করি।
আরও পড়ুন: সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের আবাসনে করোনার হানা, সিলড করা হল বিল্ডিং
তিনি আরও বলেন, ‘খেলনার জন্য ভোকাল’ হওয়ার সময় এসে গিয়েছে। প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটার গেমসেরও চাহিদা চরম। কিন্তু বেশিরভাগ কম্পিউটার গেমই বিদেশি। দেশের তরুণ প্রতিভাদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা ভারতের পুরনো ধারণা নিয়ে গেম বানান। একসঙ্গে আমরা সফল হবই। আত্মনির্ভর হতে হলে, সব ক্ষেত্রেই হতে হবে।
এদিন তিনি ঋকবেদের একটি মন্ত্রের উল্লেখ করেন…..
অন্নানাং পতয়ে নমঃ, ক্ষেত্রাণাম্পতয়ে নমঃ।
এর মানে হল অন্নদাতাকে প্রণাম, কৃষককে প্রণাম। ‘আমাদের কৃষকেরা করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজেদের ক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। আমাদের দেশে এবার খরিফ ফসলের রোপণ গত বছরের তুলনায় সাত শতাংশ বেশি হয়েছে। ধানের রোপণ এবার প্রায় দশ শতাংশ, ডাল প্রায় পাঁচ শতাংশ, মোটা দানাশস্য বা কোর্স সিরিয়ালস প্রায় তিন শতাংশ, তৈলবীজ প্রায় তেরো শতাংশ, কাপাস প্রায় তিন শতাংশ বেশি রোপণ করা হয়েছে। আমি এজন্য দেশের কৃষকদের অভিনন্দন জানাই, তাঁদের পরিশ্রমকে প্রণাম জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বন্ধুরা, যদি গুজরাতে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের “স্ট্যাচু অফ ইউনিটি”তে যাওয়ার সুযোগ আপনাদের হয়ে থাকে, অথবা কোভিডের পর যখন সেটি খুলবে এবং আপনারা যাওয়ার সুযোগ পাবেন তখন দেখবেন সেখানে একটি ইউনিক নিউট্রিশন পার্ক তৈরি করা হয়েছে। খেলতে খেলতেই আনন্দ ফুর্তির সঙ্গে নিউট্রিশনের শিক্ষা সেখানে অবশ্যই দেখতে পারেন।’