
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা অতিমারীর কারণে মহারাষ্ট্রে গণেশ চতুর্থীর চেনা জাঁকজমক এবার নেই বললেই চলে। ভিড় এড়াতে অনেক পুজো কর্তৃপক্ষই এবার অনলাইনে দর্শনের ব্যবস্থা করেছে। এবার অন্য বছরের মতো মোটেও আনন্দ নেই! গণেশ চতুর্থীতেও মুখভার আপামর দেশবাসীর। অন্যান্য বছরের মতো জাঁকজমক করে না হলেও, শনিবার সকাল থেকেই অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সিদ্ধিদাতার পূজার্চনা করেছেন ভক্তরা। মন্দিরে এবার দর্শনার্থীদের ভিড় মোটেও ছিল না।
শনিবার সকালে নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে হিন্দি ও ইংরেজিতে দুটি ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গণেশ চতুর্থীর পবিত্র উত্সব উপলক্ষ্যে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। ভগবান শ্রী গণেশের আশীর্বাদ আমাদের সবার ওপরে বর্ষিত হোক। সর্বত্র আনন্দ ও সমৃদ্ধি বিরাজ করুক।’ গণেশ চতুর্থী হিন্দিতে ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। সমগ্র দেশবাসীকে গণেশ চতুর্থীর অনেক শুভেচ্ছা বলে ট্যুইট করেন তিনি। গণেশ যাতে সবাইকে দেশের সেবা করার জন্য শক্তি ও ক্ষমতা দেন, সেই কামনা করে ট্যুইট করেন রেলমন্ত্রী পীযুশ গয়াল। হিন্দিতে ট্যুইট করে তিনি আরও লেখেন, ‘মঙ্গলকর্তা-বিঘ্নহর্তার আশীর্বাদ আজ গোটা দেশের প্রয়োজন।’ শনিবার সকালে মুম্বইয়ের শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পূজার্চনা করা হয়। এছাড়াও দিল্লির দ্বারকায় শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পূজার্চনা হয়, মহারাষ্ট্রের নাগপুরের তেকড়িতের শ্রী গণেশ মন্দিরে সকালের ‘আরতি’ করা হয়।
आप सभी को गणेश चतुर्थी की बहुत-बहुत बधाई। गणपति बाप्पा मोरया!
Greetings on the auspicious festival of Ganesh Chaturthi. May the blessings of Bhagwan Shri Ganesh always be upon us. May there be joy and prosperity all over.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 22, 2020
আরও পড়ুন: চিনকে ধাক্কা! ৪৪টি সেমি হাই স্পিড ট্রেনের টেন্ডার বাতিল রেলের
গণেশ চতুর্থী হল পশ্চিম ভারত এবং মধ্য ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় উত্সব কিন্তু বর্তমানে সারা ভারতজুড়ে গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। সিদ্ধিদাতা গণেশের পূজা-অর্চনা সকলেই ভক্তিভরে পালন করেন। ভক্তগণ বিশ্বাস করেন প্রাণভরে মন থেকে ভগবান শ্রী গণেশ কে ডাকলে সমস্ত বি-প-দ থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়। ব্যবসা-বাণিজ্য সহ যেকোন কাজকর্মে অভূতপূর্ব উন্নতি হয় শ্রী গণেশের আশীর্বাদে।
গণপতি একসময় ছিলেন পশ্চিম এবং উত্তর ভারতের আরাধ্য দেবতা। সময় বদলেছে, পশ্চিমবঙ্গতেও এখন গণপতির পুজোয় মেতেছে বাঙালি।পশ্চিমবঙ্গেও গণেশ উত্সবের ধুমধাম অনেকটাই বেড়েছে। বিগত কয়েক বছরে বাংলার পাড়ায় পাড়ায় লাফিয়ে বাড়ছে গণপতির উপস্থিতি। যাঁরা বাড়িতে গণেশ পুজো করেন, এই দিনে গণেশ মূর্তি ঘরে নিয়ে আসেন। ফুল-মালা দিয়ে সাজানো হয় পুজোর ঘর। গণেশের প্রিয় মিষ্টি হল মোদক এবং লাড্ডু। গণেশ পুজোয় তাই মোদক এবং লাড্ডু দিতেই হয়। গণেশকে নতুন কিছু শুরু করার দেবতা হিসেবে হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী মনে করা হয়। তাঁকে সিদ্ধিদাতা হিসেবে পুজো করেন ভক্তেরা। এই বছর অবশ্য করোনা আবহে ছবিটা অনেকটাই আলাদা। যাঁরা বাড়িতে গণেশ পুজো করেন, এই দিনে গণেশ মূর্তি ঘরে নিয়ে আসেন। ফুল-মালা দিয়ে সাজানো হয় পুজোর ঘর। গণেশের প্রিয় মিষ্টি হল মোদক এবং লাড্ডু।