রেলকর্মীর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করল পুলিশ

মিল্টন পাল, মালদা: রেলকর্মীর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করল পুলিশ। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদের জেরে খুন প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। পরিচিতরাই এই খুনের সঙ্গে যুক্ত। একাধিক ব্যক্তি এই খুনের সঙ্গে জড়িত বলে অনুমান পুলিশের। ঘটনাটি ঘটেছিল সোমবার রাত্রিবেলা মালদার ইংরেজবাজার থানার ঝলঝলিয়া রেল কলোনি এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মৃতের নাম হনুমান রায় (৫৯)। তিনি পুরাতন মালদার এন এফ রেলের কর্মী।মৃতের বাড়ি বিহারে। চলতি মাসের ৩১ তারিখে তার অবসর নেওয়ার কথা ছিল। তাই তার পরিবারের লোকদেরকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে তিনি একাই ছিলেন কোয়াটারে।সেই সুযোগ নিয়ে কেউ বা কারা তাকে মেরেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। মৃতের মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। মুখ ও মাথা রক্তা অবস্থায় ছিল।ঘটনার খবর পেয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি।পুলিশ মৃতদেহটিকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করে।
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম পর্বত অভিযানে বাংলার তিন এভারেস্টজয়ী, দেবাশিস, সত্যরূপ, মলয়
মৃত্যুর রহস্য খুঁজতে প্রকাশ্যে আসে টাকা পয়সা নিয়ে লেনদেনের জেরে এই খুন করা হয়েছে পরিকল্পনা মাফিক।মৃতের আত্মীয় সম্পা দেবী বলেন, ওই ব্যক্তির সাথে কারো বিরোধ ছিল না। তবে কিছুদিন ধরে টাকা-পয়সা নিয়ে তার কয়েকজনের সাথে বিবাদ শুরু হয়। তারাই বাড়িতে ঢুকে হয়তো তাকে খুন করেছে। এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলর নরেন্দ্র নাথ তিওয়ারী বলেন, তিনি এখানকার লোক ছিলেন না। এখানে তিনি বিভিন্ন রকম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন শুনেছি। আরও জানতে পেরেছি আর্থিক বিবাদের জেরে তাকে এক বা একাধিক মানুষ মিলে খুন করে থাকতে পারে।
এর পেছনে পরিচিত লোক রয়েছে। এর আগে এই এলাকায় এধরনের ঘটনার কথা আমরা শুনে নি বা দেখি নি। পুলিশ সমস্ত দিক তদন্ত করছে। আমরাও চাই এর সঠিক তদন্ত হোক। জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন,সবদিক আমরা খতিয়ে দেখছি। পরিবারের লোককের সাথে কথা বলা হচ্ছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।ইংরেজবাজার থানার এক আধিকারিককে দিয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত করানো হচ্ছে।এলাকার মানুষের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে।