বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে থানার নোটিশ, চিঠির পদ্ধতিগত বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন সাংসদের
শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, কল্যাণী: রাজ্যের শাসক বিরোধী বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক দের উপর পুলিশ প্রশাসনের অযথা হয়রানির অভিযোগ সহ অসহযোগিতা অব্যাহত। সরকারি সমস্ত নিয়ম বিধি মানা সত্বেও ত্রাণ সহ জনসংযোগে বাঁধার সন্মুখীন রাজ্যের একাধিক সাংসদ এবং বিধায়কেরা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে লকেট চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু ঠাকুর,নিশির প্রামাণিক, জন বার্লা, অর্জুন সিং, দেবশ্রী চৌধুরী,খগেন মুর্মু, ডঃ সুকান্ত মজুমদার থেকে বিধায়ক আশীষ কুমার বিশ্বাস, বিধায়ক তথা তফসিলি মোর্চার রাজ্য সভাপতি দুলাল বর কেউই বাদ যায়নি। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও একটি নাম রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারও। ত্রাণ দেওয়ার অনুমোদন পেতে শেষ পর্যন্ত আদালতের স্মরনাপন্ন পর্যন্ত হতে হয়েছে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার কে। আদালতে মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। জয় পেয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত বাবু। তাতেও শিক্ষা হয়নি শাসক দলের, অসহযোগিতা অব্যাহত।
রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ শাসক দলের কু নজরে। একের পর এক আইনী বেড়াজালে তার স্বাভাবিক গতিবিধির ওপর নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ সাংসদের। গত ২৬ মে নবদ্বীপে এক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিদর্শনে যান সাংসদ জগন্নাথ সরকার,ঐ একই সেন্টার পরিদর্শনে যান নবদ্বীপ পৌরসভার চেয়ার পার্সন তৃণমূলের বিনয় কৃষ্ণ সাহাও কিন্ত আশ্চর্যের বিষয় তৃণমূলের বিনয় কৃষ্ণ বাবুকে কোন নোটিশ না ধরালেও বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ বাবুকে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে, সাংসদ পরিযায়ী শ্রমিকদের সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হতে পারেন,এই অভিযোগ এনে হোম কোয়ারেন্টাইনের থাকার পরামর্শ দিয়ে নোটিশ ধরানো হয়।
আরও পড়ুন: বিজেপির কিষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতির উপস্থিতিতে কৃষ্ণনগরে ত্রাণ বিতরণ
তার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে বিড়ম্বনা সহ একের পর এক ঘটনায় নাজেহাল সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এরপর ইতিমধ্যে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী চাকদাহের একটি ত্রান বিতরণ অনুষ্ঠানে সামাজিক নিয়ম বিধি মেনেই যোগদান করেন জগন্নাথ বাবু। ঘটনার কয়েকদিন পর হঠাৎ গত পরশু, চাকদাহ থানার পক্ষ থেকে এক নোটিশ নিয়ে জগন্নাথ বাবুর চেম্বারে হাজির এক পুলিশ কর্তা। সামাজিক দূরত্ব সহ নিয়মবিধি অমান্য করে জমায়েত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের অভিযোগ এনে থানায় হাজিরার নির্দেশিকা। Fir no-140/2020.dated 29.05.2020.u/s-41(A)cr.oc.চিঠিতে ইসুকারী আধিকারিকের স্বাক্ষর না থাকায় বিস্মিত জগন্নাথ বাবু। জগন্নাথ বাবুর আরো অভিযোগ, চিঠিতে নেই কোন সিল এবং রাবার স্ট্যাম্পও।
সাংসদ কে চিঠি, কিন্তু তাকে এ্যাড্রেস করে কোন সন্মোধন পর্যন্ত করা হয় নি। সাংসদ ঘটনাস্থলেই প্রশ্ন ছুড়ে দেন, কর্তব্যরত পুলিশ কর্তা কে,তবে কি এই নোটিশ থানার পরিবর্তে তৃনমূল পার্টি অফিস থেকে ইসু করা হয়েছে? চিঠিতে ইসুকারী আধিকারিকের স্বাক্ষর এবং থানার সিল,স্ট্যাম্প নেই কেন? সাংসদেরআরো প্রশ্ন, আমি কি একজন ক্রিমিনাল! চিঠিতে আমার ডেজিগনেশন উল্লেখ করার সৌজন্য টুকু ও কি ভূলে গেছেন আপনারা! কোন উত্তর হয়তো ছিল না এই কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকের কাছে। জগন্নাথ বাবুর আক্ষেপ, রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন আজ নিজেদের ব্যক্তিসত্বা সহ অস্থিত্বকে বিসর্জন দিয়ে শাসকদলের দল দাসে পরিণত হয়েছে।এটা এই পবিত্র পেশার অবমাননা নয় কি?