রণক্ষেত্র শ্রীরামপুর, ডিজে বাজিয়ে উদ্দাম নাচ বরযাত্রীদের,বাধা দিয়ে আক্রান্ত পুলিশ

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: শব্দবিধি লঙ্ঘন করে বিয়েবাড়িতে ডিজি বাজিয়ে চলছিল উদ্দাম নাচ। তাতেই বাধা দেন স্থানীয়রা। কাজ না হলে খবর দেওয়া পুলিশ। কোভিড পরিস্থিতিতে এমনিতেই শব্দবিধি নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারে কড়া প্রশাসন। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির শ্রীরামপুরে। উর্দিধারীদের উপর বাঁশ, লাঠি নিয়ে চড়াও হয় বিয়েবাড়িতে উপস্থিত অনেকেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। জখম হয়েছেন ৬ জন পুলিশকর্মী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হুগলির শ্রীরামপুরের মাহেশের নেহরু নগর কলোনি এলাকা।
পুলিশের অভিযোগ, ডিজে বন্ধ করার কথা বলতেই বরযাত্রীর লোকজন সিভিক ভলান্টিয়ারর ও পুলিশকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এরপরই পাল্টা লাঠিচার্জ শুরু করে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। গোটা ঘটনায় পাঁচ জন জখম হয়েছেন। আটক করা হয়েছে ১৫ জনকে। জানা গিয়েছে, যে রাস্তা দিয়ে বরযাত্রী যাচ্ছিল সেই রাস্তায় হাসপাতাল, নার্সিংহোম রয়েছে। গুরুত্ব বুঝেই বাধা দেয় পুলিশ। পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা হোক বা বিয়ে কিংবা কোনও অনুষ্ঠান বাড়ি, ডিজে বাজানো এমনিতেই নিষিদ্ধ। করোনা আবহে এ বছর কোনও পুজোতেই শোভাযাত্রা করার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। সেখানে একেবারে জোড়া নিয়মভঙ্গের ছবি দেখা গেল শনিবার। যাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধল শ্রীরামপুরে।
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদেরও নাম পাল্টে ‘ভাগ্যনগর’ করব, পুরভোটের প্রচারে গিয়ে হুঙ্কার আদিত্যনাথের
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নেহরু নগর কলোনীতে একটি বিয়েবাড়িতে প্রচণ্ড আওয়াজ করে ডিজে বাজানো হচ্ছিল। স্থানীয়রা এই বিষয়টি শ্রীরামপুর থানার পুলিশকে জানায়। রাত এগারোটা নাগাদ পুলিশ বিয়ে বাড়িতে পৌঁছায়। বিয়েবাড়ির লোকজনকে ডিজে না বাজানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু বিয়েবাড়ির লোকজন পুলিশের কথায় কর্ণপাত করতে নারাজ। পরিবর্তে মারমুখী হয়ে ওঠে তারা। আচমকাই পুলিশকে আক্রমণ করে। রীতিমতো বাঁশ, লাঠি নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে। বাঁশের আঘাতে ৬ জন পুলিশকর্মী আহত হন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এরপর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় শনিবার রাত থেকে থমথমে শ্রীরামপুরের নেহরু নগর কলোনী। যাতে নতুন করে আর কোনও অশান্তি তৈরি না হয় তাই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।