শিকেয় সচেতনতা, ঈদের আগে বাজারে মানুষের ঢল, সর্তক করতে রাস্তায় নামল পুলিশ
পাপ্পা গুহ, উলুবেড়িয়া: খুশির ঈদ। আর তার আগেই রবিবার সকাল থেকে বাজারে মানুষের ঢল নামল। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে বাজার করা থেকে মুখে মাস্ক না পরে ঘুরে বেড়ানো সবটাই চলল রবিবারের বাজারে। অবশ্য পরে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মাইকিং করে জনগণকে সর্তক করতে রাস্তায় নামতে হল পুলিশকে।
সকলের ইচ্ছা ঈদের নতুন জামাকাপড় পরে একটু ঘরে বেড়ানোর পাশাপাশি একটু ভালো খাওয়া দাওয়া করা। যদিও এই বছর সেই আনন্দে অনেকটাই বাধ সেজেছে করোনা। তবে লক ডউন একটু শিথিলে দোকানপাট খোলায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। বিশেষ করে উৎসবের এই শেষ লগ্নে মনের মত জিনিষ কিনতে পেরে একদিকে যেমন খুশি ক্রেতারা অন্যদিকে সেইরকম খুশি বিক্রেতারা। লকডাউনের প্রথম দিন থেকে বাজার বন্ধ থাকার পর কয়েকদিন আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি উলুবেড়িয়া শহরেও দোকান খুলতে শুরু করে আর দোকানে ক্রেতারা ভিড় জমাতে শুরু করে। বিশেষ করে ঈদের আগে দোকান খোলায় জামাকাপড় থেকে জুতোর দোকানেও ভিড় লক্ষ্য করা যায়।তবে বেশিরভাগ মানুষকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই বাজার করতে দেখা যায়।
এমনকী রবিবার সকাল থেকে যেভাবে শহরের রাস্তায মানুষের ঢল নেমেছিল তাতেই আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেকে বাজার করা দূরে থাকা অধিকাংশ মানুষ মুখে মাস্ক না পরে রাস্তায় বের হওয়ায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। তাদের মতে উৎসবের মরসুমে বাজারে ভিড় হবে এটাই সাভাবিক তবে সকলের মনে রাখা উচিত আমরা একটা কঠিন সময়ের মধ্যে যাচ্ছি এবং যে রোগটা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
অধিকাংশ মানুসের মতে একটি সামান্য ভুল জীবনে একটা বড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে এটা সকলের মনে রাখা উচিত এদিকে রাস্তায় মানুষের ঢল দেখে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে দোকানে বাজার করতে দেখে একসময বাধ্য হয়ে পুলিশকে রাস্তায় নামতে হয় এবং মাইকিং করে সকলকে সর্তক করা হয়। পুলিশ প্রশাসনের বক্তব্য শুধু মাইকিং করে কোনও লাভ নেই সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে বিপদ বাড়বে।